04 May, 2024
BY- Aajtak Bangla
আচার্য চাণক্যকে একজন মহান রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। চাণক্যের নীতির সাহায্যে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ভারতের সম্রাট হন।
চাণক্য তার নীতিমালায় নারীকে পুরুষের চেয়ে অনেক এগিয়ে বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি নারী-পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে যেমন অনেক কথা বলেছেন, তেমনি নারীর অনেক গুণের কথা তাঁর নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
জানুন চাণক্য তার নীতিতে নারীর কোন গুণাবলীর কথা বলেছেন।
চাণক্যের একটি শ্লোকে ব্যাখ্যা করেছেন, মহিলারা পুরুষের চেয়ে বেশি ক্ষুধার্ত বোধ করে। খাবারের কথা বললে নারীরা পুরুষের চেয়ে এগিয়ে। তার মতে, নারীরা পুরুষদের তুলনায় দ্বিগুণ ক্ষুধার্ত বোধ করেন। এর পিছনে দায়ী করা হয়েছে নারীদের শারীরিক গঠনকে।
চাণক্যের মতে, মহিলাদের শরীরের গঠন এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালরির পরিমাণ মেটাতে আরও বেশি করে খেতে হয়। একই সময়ে, মহিলাদের আরও শক্তির প্রয়োজন হয়, তাই মহিলাদের জন্য আরও বেশি খাওয়া প্রয়োজন হয়ে ওঠে।
সাধারণত লোকেরা বিশ্বাস করে যে মহিলারা নরম এবং কোমল। কিন্তু চাণক্যের নীতি এটা একেবারেই মানে না। নারীদের সাহস নিয়ে চাণক্যের বক্তব্য সাধারণ মানুষের চিন্তাধারা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
তাঁর মতে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের সাহস ৬ গুণ বেশি। তাই তাদের শক্তির রূপ বলে মনে করা হয়। চাণক্য নীতি অনুসারে, মহিলারা পুরুষদের তুলনায় বেশি সজ্জিত এবং প্রেমময় প্রকৃতির। একই সময়ে, তাদের যৌন ইচ্ছা 8 গুণ বেশি।
নারীর অন্যান্য গুণের বর্ণনা দিতে গিয়ে চাণক্য বলেছেন যে নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি স্মার্ট। এমনকি বুদ্ধিমত্তার দিক থেকেও নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান।
চাণক্যের নীতি অনুসারে, মহিলারা তাদের বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা এবং বোঝাপড়া দিয়ে পুরুষদের তুলনায় তাদের জীবনে আসা সমস্ত ঝামেলা এবং সমস্যাগুলিকে অতিক্রম করে।