12 MAY, 2025
BY- Aajtak Bangla
আচার্য চাণক্যকে ইতিহাসের সেই জ্ঞানী ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্য করা হয় যারা জ্ঞান অর্জনের জন্য তাদের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
তিনি কেবল জ্ঞান অর্জনই করেননি, সেই জ্ঞানের মাধ্যমে অন্যদেরও পথ দেখিয়েছেন। আজকের বস্তুবাদী ও স্বার্থপর যুগে সঠিক মানুষ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে তার নীতিগুলি খুবই কার্যকর।
তার এমনই একটি নীতি আমাদের বলে কীভাবে একজন প্রকৃত বন্ধুকে চিনতে হয়।
চাণক্য নীতি এমন একটি জ্ঞানের সংগ্রহ যেখানে জীবন, রাজনীতি, প্রশাসন, সমাজ, নারী, বন্ধুত্ব, শত্রু, শিক্ষা, সম্পদ, ধর্ম ইত্যাদি সম্পর্কিত নীতি ও ধারণাগুলি খুব সুন্দরভাবে লেখা হয়েছে।
এই নীতিশাস্ত্র আমাদের শেখায় কীভাবে একজন ব্যক্তি তার জীবনকে সফল, নিরাপদ এবং কার্যকর করে তুলতে পারেন। আমরা চাণক্য নীতিতে দেওয়া এমনই একটি শ্লোক সম্পর্কে কথা বলতে যাচ্ছি, যার মাধ্যমে বলা হয়েছে কীভাবে একজন ভালো এবং প্রকৃত বন্ধুকে চিহ্নিত করা যায়।
তিনি এই শ্লোকে বলেছেন যে, যদি এই ৬টি পরিস্থিতিতেও কেউ তোমার পাশে দাঁড়ায়, তাহলে বুঝতে হবে সে তোমার প্রকৃত বন্ধু। তাহলে আসুন জেনে নিই চাণক্য নীতির সেই শ্লোকটি কোনটি এবং সেই বিশেষ পরিস্থিতিতে কী কী ক্ষেত্রে একজন প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায় তাও জেনে নেওয়া যাক।
আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি, দারিদ্র্য, শত্রু এবং ঝামেলা। রাজদ্বার শ্মশান গ যস্তিষ্ঠাতি সা বান্ধবঃ।
অর্থ : যে ব্যক্তি তোমাকে রোগে, দুঃখে, দুর্ভিক্ষে, শত্রুর বিপদে, রাজসভায়, শ্মশানে অথবা কারো মৃত্যুর সময় পরিত্যাগ করে না, তাকেই প্রকৃত আত্মীয় এবং বন্ধু বলে মনে করা হয়।
যদি আমরা চাণক্য নীতির এই শ্লোকটি বোঝার চেষ্টা করি, তাহলে এর অর্থ হল, যে ব্যক্তি অসুস্থ বা যন্ত্রণার সময়, দুর্ভিক্ষের সময়, শত্রুর দ্বারা কোনও ধরণের ঝামেলার সৃষ্টি হলে, আইনি মামলায় আটকা পড়লে এবং মারা গেলে শ্মশান পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকে, সে একজন প্রকৃত বন্ধু।
এই শ্লোকের মাধ্যমে তিনি এটা বলার চেষ্টা করেছেন যে, যদি তোমার কোন বন্ধু সত্যিই তোমাকে হৃদয় থেকে বিশ্বাস করে, তাহলে এই কঠিন পরিস্থিতিতেও সে তোমাকে কখনোই ছেড়ে যাবে না। এই সময়গুলোতে মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন হয়। যারা এমন সময়ে অন্যদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ায় তারাই প্রকৃত বন্ধু বলে পরিচিত।