20 June, 2023
বড়সড় সাফল্য পেলেন বিজ্ঞানীরা। চিকুনগুনিয়ার ভ্যাকসিন তার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সফল হয়েছে।
চিকুনগুনিয়ার ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে "অত্যন্ত সুরক্ষিত" হিসাবেই প্রমাণিত হয়েছে। ক্লিনিক্যাল গবেষণায় এই প্রথমবার মানুষের উপর টিকা পরীক্ষা করার পরে এত ভাল ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।
গবেষকরা ১২ জুন দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় তাদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করে ব্যাখ্যা করেছেন। টিকাটি প্রয়োগের ২৮ দিন পরে স্বেচ্ছাসেবকদের ৯৮.৯ শতাংশের মধ্যে খুব উচ্চ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
জার্মানির টিউবিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ পিটার ক্রেমনার বলেন, "চিকুনগুনিয়া খুব কম ক্ষেত্রেই প্রাণঘাতী, কিন্তু রোগটি বেশ যন্ত্রণাদায়ক। আপনি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত অসুস্থ থাকতে পারেন।"
আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারতীয় উপমহাদেশ এবং আমেরিকার উপ-ক্রান্তীয় অঞ্চলে এই রোগটি বিদ্যমান। এখন পর্যন্ত চিকুনগুনিয়ার কোনো চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি।
লাইভ-অ্যাটেনুয়েটেড ভ্যাকসিন, VLA1553, চিকুনগুনিয়ার লা রিইউনিয়ন স্ট্রেনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা পূর্ব-মধ্য-দক্ষিণ আফ্রিকার জিনোটাইপ।
গবেষণা পত্র অনুযায়ী, চিকুনগুনিয়া রোগের জন্য ভ্যাকসিন যে ২৬৬ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ২৬৩ জনের শরীরে সফল ভাবে চিকুনগুনিয়া রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হয়েছে।
জার্মানির টিউবিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ পিটার ক্রেমনার বলেন, "চিকুনগুনিয়া খুব কম ক্ষেত্রেই প্রাণঘাতী, কিন্তু রোগটি বেশ যন্ত্রণাদায়ক। আপনি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত অসুস্থ থাকতে পারেন।"
১৯৫০ সাল এবং ওই দশকে তানজানিয়ায় প্রথম চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়েছিল। ভাইরাল এর পর এই রোগটি আফ্রিকা, এশিয়া, ক্যারিবিয়ান দ্বিপ এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে।