9 DECEMBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
কোন সন্তান বাধ্য নয়, তাকে তৈরি করতে হয়। এমতাবস্থায় মা-বাবা যদি সন্তানকে সঠিকভাবে না সামলান তাহলে সন্তানের দোষ নেই।
মনে রাখবেন আপনার সন্তানের সঙ্গে আপনি যেমন আচরণ করবেন তেমনই হবে।
শিশুরা খুব দ্রুত সবকিছু শেখে এবং তাদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাও অনেক বেশি। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি চান যে সে আপনার কথা শুনুক এবং খুব বেশি জেদি না হয়, তবে আপনি এখানে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলি দ্বারা তাকে উন্নত করতে পারেন।
শিশুদের মন নানা প্রশ্ন ও কৌতূহলে ভরপুর। এমতাবস্থায় সে যে কাজ করছে বা করতে চায় তার ওপর খুব বেশি বিধিনিষেধ আরোপ করবেন না। যদিও বাচ্চাদের ভুল শুধরে নেওয়া দরকার, কিন্তু আপনি যদি সব কিছুতেই তাদের থামাতে শুরু করেন, তাহলে এই অভ্যাসের কারণে তারা শুধু আপনার থেকে দূরে সরে যাবে না, তাদের শেখার ও বোঝার ক্ষমতাও কমে যাবে।
শিশু যদি আপনার কথা না শোনে তবে এর জন্য খারাপ শব্দ ব্যবহার করবেন না। এ কারণে তাদের আচরণ বিষাক্ত হয়ে ওঠে। আপনার প্রতিটি শব্দ তার মানসিকতা প্রভাবিত করে। সর্বদা আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন এবং সাবধানে আপনার শব্দ চয়ন করুন।
যদি শিশুদের বকাঝকা করা হয় এবং অতিরিক্ত মারধর করা হয় তবে তারা তাদের ভয় হারিয়ে ফেলে। অতএব, এই জিনিসগুলি খুব বিরল অবস্থায় ব্যবহার করুন, যাতে আপনার সন্তান বুঝতে পারে যে সে খুব বড় ভুল করেছে। ছোটখাটো ভুলের ব্যাপারে শুধুমাত্র ভালবেসে ব্যাখ্যাই তাকে বাধ্য করতে পারে।
যদি আপনার সন্তান তার নিজের কাজ করে তবে তাকে সঠিক এবং ভুল বোঝার জন্য জীবনের উপর ভারী বক্তৃতা দেবেন না। এর কারণে, সে আপনার কথা কিছুই বুঝতে পারবেন না এবং এটি অবশ্যই তার চোখে আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। যার কারণে সে কখনোই আপনার কথাকে সিরিয়াসলি নেবে না। তার সঙ্গে সহজ ও বোধগম্য ভাষায় কথা বলুন।
আপনি যদি শিশুকে বাধ্য করতে চান তবে এর জন্য আপনাকে তাকে সঠিক পথে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সন্তানের ছোট ভাল অভ্যাস এবং কৃতিত্বের জন্য তার প্রশংসা করুন। তাকে ভাল বোধ করান। এতে করে শিশু আপনার সঙ্গে আরও বেশি সংযোগ স্থাপন করবে এবং আপনার কথাকে গুরুত্ব দেবে।