BY- Aajtak Bangla

বারান্দার টবেই হবে প্রচুর চন্দ্রমল্লিকা, গাছ ঝাঁকড়া ও সুন্দর কীভাবে বানাবেন?

8 NOVEMBER 2023

বিশ্বের জনপ্রিয় মরশুমি ফুলের মধ্যে অন্যতম হলো চন্দ্রমল্লিকা| এটি বিভিন্ন বর্ণ ও রঙের হয়ে থাকে। 

জনপ্রিয়তার দিক থেকে গোলাপের পরই এর স্থান। এটি মূলত জাপান ও চিনের ফুল।

বিভিন্ন জাতের চন্দ্রমল্লিকার ফুলের আকার, রঙ ইত্যাদির প্রকারভেদ আছে। এর মধ্যে তামাটে, সোনালি, হলুদ, বেগুনি, লাল, খয়েরি  চন্দ্রমল্লিকা অত্যন্ত জনপ্রিয়।

চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বাজারে চাহিদা থাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই ফুলের চাষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ |

 ক্রিসমাসের সময় ফোটে বলে একে ক্রিসেন্থিমামও বলা হয়। বাড়ির উঠোন, বারান্দা ও ছাদে ফুলটি ফোটান যায়।

চন্দ্রমল্লিকা তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গায় ভালো জন্মে।

জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ সুদো-আঁশ ও বেলে মাটি চন্দ্রমল্লিকা চাষের জন্য উপযোগী। মাটির পিএইচ ৬.০-৭.০ হওয়া জরুরি।

বীজ ও শাখা কলম থেকে চন্দ্রমল্লিকার চারা তৈরি করা যায়। চারা রোপণের উপযুক্ত সময় অক্টেবর-নভেম্বর।

চন্দ্রমল্লিকা গাছ মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদন শোষণ করে থাকে। এ কারণে জৈব ও রাসায়নিক খাদ্যযুক্ত মাটিতে এ গাছ খুব ভালোভাবে সাড়া দেয়।

জমির আগাছা মুক্ত রাখতে এবং গাছের যথাযথ বিকাশের জন্য ২-৩ বার হাত দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।

চন্দ্রমল্লিকার ফুল সাধারণত ডালপালার তুলনায় বড় হয়। তাই গাছের গোড়া থেকে কুঁড়ি পর্যন্ত একটা শক্ত কাঠি পুঁতে দিতে হবে। এতে ফুল নুয়ে পড়বে না।

 চারা লাগানোর পর হালকা সেচ দিতে হয়। গাছ কখনো বেশি জল সহ্য করতে পারে না। তাই জল এমনভাবে দিতে হবে যেন গোড়ায় বেশিক্ষণ  জমে না থাকে। চারা রোপণের আগে এবং পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পরিমাণমতো জল সেচ জরুরি।

চন্দ্রমল্লিকা ফুল কুঁড়ি অবস্থায় তুললে ফোঁটে না। বাইরের পাপড়ি গুলো সম্পূর্ণ খুলে গিয়েছে এবং মাঝের পাপড়ি গুলো ফুটতে শুরু করেছে এমন অবস্থায় খুব সকালে অথবা বিকেলে ধারালো ছুরি দিয়ে দীর্ঘ বোঁটাসহ কেটে ফুল তোলা উচিত।

 জাত ভেদে ফলন কম বেশি হয়। তবে গাছ প্রতি বছরে গড়ে ৩০-৪০ টি ফুল পাওয়া যায়।