3 JUNE, 2025
BY- Aajtak Bangla
লখনউয়ের রাজাজিপুরমের তালকাটোরায় অবস্থিত বালাজি মন্দিরের ইতিহাস প্রায় ১০০ বছরের পুরনো। এই মন্দিরটি স্বয়ম্ভু বালাজির উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত, কারণ এখানে ভগবান হনুমানের মূর্তি স্বয়ং আবির্ভূত হয়েছিলেন।
এই মন্দিরের সঙ্গে অনেক ধর্মীয় বিশ্বাস জড়িত। সবচেয়ে বিখ্যাত বিশ্বাস হল এখানে আগত ভক্তরা তাদের শরীর থেকে নারকেল খুলে বালাজি মহারাজের চরণে উৎসর্গ করেন।
এটি করার মাধ্যমে অশুভ আত্মা, জাদুবিদ্যা বা যে কোনও নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও, একটি অনন্য ঐতিহ্য হল ভক্তরা তাদের শরীর থেকে ১০ টাকার নোট খুলে মন্দিরের দান বাক্সে রাখেন। বিশ্বাস করা হয় যে এতে জীবনের বাধা দূর হয় এবং ভক্তদের ইচ্ছা পূরণ হয়।
বিশ্বাস করা হয় যে নেতিবাচক শক্তি বালাজি মহারাজের সামনে উপস্থিত হয় এবং শাস্তি পায়। এখানে অশুভ শক্তিও মার খায়, যার কারণে তারা সেই ব্যক্তির দেহ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
অনেক ভক্ত বলেন যে এই মন্দিরে দর্শন করলে তাদের জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। মানসিক চাপ, পারিবারিক কলহ বা কোনও অজানা ভয়, বালাজি মহারাজের কৃপায় সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়।
মন্দিরে করা বিশেষ পুজো এবং কীর্তন অশুভ শক্তি দূর করতে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। ভক্তরা আরও বিশ্বাস করেন যে এখানে আরতি করলে মনে শান্তি আসে এবং ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়।
মন্দিরে প্রবেশের আগে কিছু নিয়ম মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। ভক্তদের বিশুদ্ধ এবং সাত্ত্বিক খাবার খেতে হয়।
মাংস, মাছ, ডিম, রসুন এবং পেঁয়াজ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। পরিষ্কার পোশাক পরে মন্দিরে যাওয়া উচিত এবং পুজোর সময় শান্তি ও ভক্তি বজায় রাখা উচিত।