7 DECEMBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
মা হওয়া প্রতিটি মহিলার জীবনের একটি বিশেষ স্বপ্ন। কিন্তু গর্ভাবস্থার ৯ মাস চ্যালেঞ্জ এবং দায়িত্বে পূর্ণ। এই সময়ে, মায়ের প্রতিটি পদক্ষেপ গর্ভে শিশুর বিকাশ এবং ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলে।
গর্ভাবস্থায় যদি কিছু খারাপ অভ্যাস সংশোধন করা না হয়, তাহলে সেগুলো শিশুর স্বাস্থ্য ও বিকাশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্প্রতি, একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে রান্না এবং গরম করার জন্য কয়লা বা কাঠের মতো কঠিন জ্বালানী ব্যবহার গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের (GDM) ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
চিনের জুনি মেডিকেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দেখেছেন যে মহিলারা এই ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করেন তাদের ডায়াবেটিস বেশি হয়, যা গর্ভে শিশুর বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
ধূমপান এবং অ্যালকোহল গর্ভের শিশুর বিকাশকে ধীর করে দিতে পারে। এর ফলে শিশুর জন্মের পর গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন কমওজন, শ্বাসকষ্ট, এমনকি মানসিক বিকাশ ব্যাহত।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপও শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ প্ল্যাসেন্টায় রক্ত প্রবাহ কমাতে পারে, ভ্রূণকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন এবং পুষ্টি পেতে বাধা দেয়।
গর্ভবতী মহিলার খাবার সরাসরি শিশুর বিকাশকে প্রভাবিত করে। মা যদি সুষম খাদ্য গ্রহণ না করেন তাহলে শিশু গর্ভে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। এতে শিশুর বৃদ্ধির গতি কমে যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে তাকে দুর্বল করে দিতে পারে।
গর্ভবতী মহিলার মানসিক চাপ শিশুর উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত চাপ গর্ভের শিশুর রক্ত প্রবাহকে কমিয়ে দিতে পারে, যা তার বিকাশকে প্রভাবিত করে।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন যাতে সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি অন্তর্ভুক্ত থাকে। ধূমপান এবং অ্যালকোহল সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন এবং সময়ে সময়ে সিরিয়াল আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করুন।
চাপ কমাতে হালকা ব্যায়াম করুন এবং যোগব্যায়াম বা ধ্যানের সাহায্য নিন। দূষণ এবং কঠিন জ্বালানী থেকে দূরে থাকুন।