BY- Aajtak Bangla
17 March, 2025
ব্রিটিশ আমলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কেদারনাথ দত্তের উদ্যোগে চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান নিয়ে নতুন বিতর্কের সূচনা হয়।
নবদ্বীপের গোসাঁইদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কেদারনাথ দত্ত ১৮৮৬ সালে বাঘনাপাড়ার বিপিনবিহারী গোস্বামীর কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন।
এরপর নবদ্বীপের পরিবর্তে ভাগীরথীর অপর পারের মুসলিম অধ্যুষিত ‘মিঞাপুর’কে ‘মায়াপুর’ নামে প্রতিষ্ঠা করেন।
সরকারি নথি অনুসারে, ১৮৫৪ সালের রেভিনিউ সার্ভে মানচিত্র ও ১৮৮৬ সালের ‘ভিলেজ ডাইরেক্টরি অফ নদিয়া’-তে বর্তমান ‘মায়াপুর’ অঞ্চলের নাম ছিল ‘মিঞাপুর’।
কেদারনাথ দত্ত এই নাম পরিবর্তন করে ‘মায়াপুর’ হিসেবে প্রচার করেন।
গবেষক যজ্ঞেশ্বর চৌধুরী ও শান্তিরঞ্জন দেবের মতে, নবদ্বীপের গোসাঁইদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে এবং নিজের প্রভাব কাজে লাগিয়ে কেদারনাথ দত্ত নবদ্বীপের পরিবর্তে মায়াপুরকে জন্মস্থান হিসেবে প্রচার করেন।
১৮৯৪ সালে কৃষ্ণনগরে কেদারনাথ দত্ত একটি সভায় দাবি করেন, স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি নবদ্বীপের পরিবর্তে গঙ্গার অপর পারে এক আলোকিত স্থানে চৈতন্যের জন্মস্থান খুঁজে পান।
ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, ১৭৮০ সাল থেকে গঙ্গার ভাঙনে নবদ্বীপের উত্তর অংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। গবেষকদের মতে, চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান বর্তমানে গঙ্গার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নবদ্বীপ শহর বহুবার নদীভাঙনের কবলে পড়েছে, ফলে চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রকৃত জন্মস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
লর্ড হেস্টিংসের দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ একসময় নবদ্বীপে চৈতন্যের ভদ্রাসন চিহ্নিত করলেও ১৮২৩ সালে সেটি গঙ্গার গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।