6 February, 2024
BY- Aajtak Bangla
অতি সাধারণ ডিম। কিন্তু তারই প্রচুর গুণ। তবে ঠিকভাবে রান্না করলে এই গুণ আরও বেশি পাবেন।
ডিমের ব্যাপারটা হল, আপনি যেটুকুই খাবেন, তাতেই ভরপুর পুষ্টি পাবেন। চিকিৎকের নিষেধ না থাকলে তাই রোজ একটি ডিম খান।
ডিমে প্রচুর পরিমাণে, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ উপাদান, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, বিভিন্ন ট্রেস নিউট্রেন্ট থাকে।
আপনি যেভাবে ডিম রান্না করেন, তার উপর ডিমের পুষ্টি গুণ অনেকটাই নির্ভর করে। এই অতি সাধারণ বিষয়টি কিন্তু প্রায় সকলেই উপেক্ষা করে থাকেন।
বিভিন্ন উপায়ে ডিম রান্না করা যায়। শুধু ডিমই রান্না করে খাওয়া যায়। আবার অন্য উপাদান, যেমন শাকসবজির সঙ্গে মিশিয়েও রান্না করা যায়।
অনেকে আবার কাঁচা ডিম খেয়ে নেন। সেক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল, রান্না করলে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। তাই কাঁচার থেকে রান্না করা ডিমই বেশি স্বাস্থ্যকর।
গবেষণা বলছে, রান্না করার পর ডিমের কুসুম আরও বেশি হজমযোগ্য হয়ে যায়। মানবদেহে কাঁচা ডিমের মাত্র ৫১% প্রোটিনই শোষিত হয়। কিন্তু রান্না করা ডিমের প্রায় ৯১% প্রোটিনই দেহে শোষিত হয়ে যায়।
জলে ৭-১০ মিনিট ফোটানো। এর চেয়ে সহজ রান্না কিছু হয় না। হার্ড বয়েলড ডিম বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সাধারণ খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম। ডিম যত বেশি ফোটাবেন, তার কুসুম ততটাই শক্ত এবং শুকনো হয়ে যাবে।
ডিম ভাল করে ফেটিয়ে নেওয়া। তারপর কড়াতে সামান্য তেল দিয়ে সেটা ঢেলে দেওয়া। অমলেট বেশ সুস্বাদু খাবার।
বেশি সময় ধরে, চড়া আঁচে ডিম রান্না করলে তার ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কমে যায়। ফলে ডিমের পুষ্টিগুণ অনেক কমে যায়।
অন্যদিকে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু রান্না করলেই ডিমের সম্পূর্ণ উপকার পাবেন। ফলে ডিম খাওয়ার সেরা উপায় হল ৬ মিনিট ফুটন্ত জলে সেদ্ধ করা। বাঙালিরা যাকে হাফ-বয়েল বলে।
এভাবে রান্না করলে ডিমের কুসুম সম্পূর্ণ শক্ত হয় না। অনেকটা জ্যামের মতো হয়ে থাকে। এই ডিম খেতেও যেমন সুস্বাদু, তেমনই এর খাদ্যগুণও অনেক বেশি।