25 October, 2023
BY- Aajtak Bangla
ভারতের অনেক রাজ্যে হালকা ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে মানুষ সর্দি, কাশি, গলাব্যথার মতো সাধারণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
আপনিও যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে, যার সাহায্যে আপনি সর্দি এবং বন্ধ নাক থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ঘি আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারে।
ঘি এর প্রদাহরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এই সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
দেশি ঘি কফ এবং শ্লেষ্মা ভাঙতে সাহায্য করে, যার ফলে নাক বন্ধের সমস্যা দূর হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘি ব্যবহার করার পদ্ধতি।
সর্দি হলে ঘি ও জোয়ান মিশিয়ে দুধ পান করলে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঠান্ডা হয়ে গেলে দুধ গরম করুন। এর মধ্যে এক চামচ ঘি এবং কিছু জোয়ান দিন। রাতে ঘুমানোর আগে এই দুধ পান করুন।
জোয়ান এবং ঘি উভয়েরই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ঘি শরীরে উষ্ণতা প্রদান করে, যা কফ গঠনে বাধা দেয়।
ঘি এবং গোল মরিচের চা পান করলে গলা ব্যথা এবং কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এক কাপ জলে এক চামচ ঘি, দুই চিমটি গোল মরিচ ও সামান্য আদা দিন। কিছুক্ষণ ফুটিয়ে তারপর ছেঁকে পান করুন।
ঘি এবং গোল মরিচের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গলা ব্যথা এবং কাশি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
ঘুমনোর আগে এক চামচ ঘি ও মধু মিশিয়ে খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মধু এবং ঘি উভয়েরই প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি কফ ভাঙতে সাহায্য করে।
ঘি-তে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো নাকে জমে থাকা কফ ভাঙতে সাহায্য করে। দুই ফোঁটা ইষদুষ্ণঘি নাকে দিলে কফ বের হয় এবং নাক খুলে যায়।