BY- Aajtak Bangla
30 April, 2024
দই থেকেই তৈরি হয় ঘোল। দই আর ঘোল দুটিই আমাদের শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী। কিন্তু দইয়ের থেকে ঘোল শরীরের জন্য বেশি উপকারী।
তাই বলা হয়, দইয়ের থেকে ঘোল শরীরের জন্য বেশি উপকারী। সত্যিই কি তাই? চলুন জেনে নেওয়া যাক আসল কাহিনী কী?
দইকে পাতলা করে অর্থাৎ জল মিশিয়ে তৈরি হয় ঘোল। আমরা জানি কোনও জিনিসে জল মেশানোর ফলে অনেকক্ষেত্রেই তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। এক্ষেত্রে হয় ঠিক উল্টোটা।
ঘোল দইয়ের তুলনায় পাতলা হওয়ার ফলে হজম খুব সহজে হয়ে যায়। জলীয় উপাদান বেশি থাকার ফলে শরীরকে সঠিক পরিমানে হাইড্রেট করতেও ঘোলের উপকারিতা বেশি।
দইও শরীরকে হাইড্ৰেট করে কিন্তু তার পরিমান ঘোলের থেকে সবসময় কম হয়ে থাকে। দই ও ঘোল একই জিনিস দিয়ে তৈরি হলেও দইয়ের থেকে ঘোল অনেকটাই বেশি উপকারী।
অতিরিক্ত তেলমশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে অনেকসময় পেটে অস্বস্তি হতে থাকে। সেই সময় যদি এক গ্লাস ঘোল খাওয়া যায় তাহলে খাবার খুব তাড়াতড়ি হজম হয়ে যায়।
শরীরে যদি অতিরিক্ত পরিমান মেদ থাকে তাহলেও চিন্তা নেই। এক্ষেত্রেও ত্রাতা হিসেবে দেখা দিতে পারে ঘোল। শরীরের ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে দই থেকে তৈরী ঘোলই।
কথাতেই আছে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো হয়। কথাটি কিন্তু একেবারেই সত্যি। ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্ট মানুষজন দই না খেতে পারলেও অনায়াসে ঘোল খেতে পারে।
দুধের সমস্ত গুনাগুন সেই মানুষটি পায় ঘোলের থেকে। যাদের হাই প্রেসার রয়েছে ঘোল তাদের জন্যও ভালো।
বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে গোলের। কিন্তু চিকিৎসকের জানাচ্ছেন, যার খুব রোগা বা যারা অপুষ্টিতে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে ঘোল না খাওয়াই ভাল। তাঁরা দই খান।
জেনে নিলেন, দই ও ঘোল দুয়ের উপকারিতা। এবার আপনার শরীরের জন্য কোনটি প্রয়োজন তা বুঝে নিয়ে বেঁচে নিন এর মধ্যে যে কোনও একটি।