10 DECEMBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
আজকাল চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দূষণ, মানসিক চাপ, ভুল খাদ্যাভ্যাসসহ নানা কারণে চুল পড়া বাড়ছে।
কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার রান্নাঘরে উপস্থিত কারি পাতা এই সমস্যার সমাধান হতে পারে?
কারি পাতা চুলের জন্য খুবই উপকারী। এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা চুলকে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে।
কারি পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়।
কারি পাতায় রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন যা চুলকে প্রাকৃতিকভাবে কালো ও চকচকে করে। এছাড়াও এটি চুলের অকাল পক্কতা হওয়া রোধ করে। পঞ্চ যাত্রা ন বিদ্যান্তে ন তত্র দিবাসে বসেত।
কারি পাতায় অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খুশকির কারণে হওয়া চুলকানি এবং খুশকি দূর করে।
ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, প্রোটিন এবং আয়রনের মতো পুষ্টি উপাদান কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা চুলের পুষ্টি জোগায় এবং চুলকে শক্তিশালী করে।
কারি পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে যা চুলের ফলিকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
কারি পাতা মাথার ত্বক সুস্থ রাখে এবং খুশকির সমস্যা দূর করে। এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে এবং রক্ত সঞ্চালনকে উৎসাহিত করে।
নারকেল তেলে কারি পাতা ফুটিয়ে নিন এবং এই তেল দিয়ে চুল ম্যাসাজ করুন। এটি চুলকে মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়।
জলে কারি পাতা ফুটিয়ে এই জল দিয়ে চুল ধুলে চুল নরম ও চকচকে হয়।
কারি পাতা পিষে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট চুলে এবং মাথার ত্বকে লাগান। এটি চুলে পুষ্টি জোগায় এবং খুশকি দূর করে।
কারি পাতা পিষে মেহেন্দির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট চুলে লাগান। এটি চুলে প্রাকৃতিক রঙ দেয় এবং চুলকে মজবুত করে।
কারি পাতা পিষে ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট চুলে লাগালে চুল ঘন ও লম্বা হয়।
কারি পাতা পিষে আমলার রসের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট চুলে লাগালে চুলের অকাল পাকা হওয়া রোধ হয়।