11 March, 2025
BY- Aajtak Bangla
জলের গুরুত্ব বোঝা যায় যে, মানবদেহে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত জল থাকে। চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দিনে ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করার পরামর্শ দেন।
এই পরামর্শটি দেখায় যে জল মানবদেহের জন্য কতটা মূল্যবান। কারণ শীতকালে ঘাম বা অন্য কোনও মাধ্যমে জল বের হয় না। এই কারণেই মানুষ কম জল পান করেও চালিয়ে দিতে পারে।
কিন্তু গ্রীষ্মকালে, দিনের বেলায় ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায়। এছাড়াও, প্রস্রাবের মাধ্যমেও জল বের হয়।
ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে গ্রীষ্মে মানুষের কম জল পান করা উচিত নয়। এর ফলে শরীরে নানা ধরণের সমস্যা দেখা দেয়।
আসুন জেনে নেওয়া যাক শরীরে জলের অভাবের কারণে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীরে জলের অভাব হলে তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে। এর ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে ডিহাইড্রেট থাকা উচিত নয়।
গ্রীষ্মকালে অনেকের প্রস্রাব গাঢ় হয়ে যায়। এটি শরীরে জলের অভাবের ইঙ্গিত দেয়। প্রস্রাব গাঢ় হলুদ রঙের হলে বেশি করে জল পান করা উচিত।
যদি আপনি কম জল পান করেন, তাহলে এটি ক্লান্তির কারণ হতে পারে। যখন শরীর ডিহাইড্রেশন হয়ে যায়, তখন ক্লান্ত বোধ হয়। এই সময়কালে, জলের জলের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
গ্রীষ্মকালে মানুষ মুখ শুষ্ক হওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। লালা মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে কাজ করে। মুখ শুষ্ক হয়ে গেলে, মুখে খারাপ ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। ক্ষতি হতে পারে।
কম জল পানের প্রভাব শরীরের উপর দেখা যায়। ত্বক শুষ্ক থাকে। ফুসকুড়িও দেখা দেয়। মানুষ সুরক্ষার জন্য দামি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে। বেশি করে জল পান শুরু করা ভালো।
ডিহাইড্রেশনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পাকস্থলীর উপর দেখা যায়। এর ফলে পরিপাকতন্ত্র ব্যাহত হয়। জলের অভাবে অন্ত্র শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। নিজেকে বাঁচাতে, জলের পরিমাণ বাড়ান।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি, উপায় এবং পরামর্শ অনুসরণ করার আগে, অনুগ্রহ করে একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।