BY- Aajtak Bangla
09 Feb, 2025
অনেকে মনে করেন, চিনেবাদাম নামে পরিচিত খুদে আকারের বাদামের জাতটি চীন বা চায়না নামে পরিচিত দেশ থেকে এসেছে। তাই নাম চিনেবাদাম। এটা মনে করে, অনেকে লেখেন— চিনেবাদাম।
চিনেবাদাম নামের বীজটি চীন বা চায়না হতে আসেনি। চিনেবাদাম নাম হলেও এই বাদামের সঙ্গে জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ ‘গণপ্রজাতন্ত্রী চিন’ নামের দেশটির কোনও সম্পর্ক নেই।
চিনেবাদাম শব্দের আদি উৎস দক্ষিণ ভারত। এর আসল নাম চিন্নাবাদাম। চিন্না হলো তামিল বা তেলেগু ভাষার শব্দ। যার অর্থ— ছোটো, খুদে, ক্ষুদ্র। অন্যদিকে, বাদাম হচ্ছে— ফারসি উৎসের শব্দ।
অর্থাৎ তামিল চিন্না ও ফারসি বাদাম নিয়ে গঠিত চিন্নাবাদাম নামের বীজটিই আমাদের পরিচিত চিনেবাদাম।
আধুনিক বাংলা অভিধানমতে, ফারসি উৎসের বাদাম অর্থ (বিশেষ্যে)— ভারতীয় উপমহাদেশ-সহ বিশ্বের উপ-উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে চাষ করা হয় এমন দ্বিবীজবিশিষ্ট উদ্ভিদের মাটির নিচে জাত কঠিন খোলসাবৃত তেল প্রোটিন ও ভিটামিন বি এবং ই সমৃদ্ধ শক্ত বীজবিশেষ।
সুতরাং, চিনেবাদাম অর্থ ছোটো বাদাম, খুদে বাদাম।
তামিল-তেলেগুর মতোই কিছু অন্যান্য ভাষায় ‘চিন্না’ বা ‘চিনু’ শব্দটি ক্ষুদ্র বা ছোটো অর্থ প্রকাশ করে।
সুতরাং, ‘চিনেবাদাম’ শব্দটি চীনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং এটি দক্ষিণ ভারতীয় ভাষার ‘চিন্না’ ও ফারসি ‘বাদাম’ শব্দের মিলনে গঠিত একটি নাম।
এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচিত হলেও, নামের মূল উৎস ভারতীয় উপমহাদেশেই রয়েছে।