BY- Aajtak Bangla

সাপে কামড়ালে এই ভুল করবেন না, জানা খুব জরুরি

23 March, 2025

গ্রামাঞ্চলে সব সময় কমবেশি সাপের আতঙ্ক থাকে। বর্ষা মরসুমে এটি আরও বেড়ে যায়। এ সময় যাঁরা বনে-পাহাড়ে ঘুরতে যান, তাঁদেরও সাপে কামড়াতে পারে। 

বনে-পাহাড়ে

শহরে বিচ্ছিন্নভাবে সাপে কাটার রোগী পাওয়া যায়। সাপে কাটলে বেশির ভাগ মানুষ ঘাবড়ে যান। ভয় কাজ করলেও এ সময় ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া দরকার।

সাপে কাটার রোগী

 সাপে কামড়ালে একটি ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকে প্রথমেই কামড়ের স্থানে শক্ত বাঁধন বা গিঁট দিয়ে ফেলেন। এর পেছনে ধারণা হলো, বিষ এতে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না।  আসলে এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। 

শক্ত বাঁধন

আরেকটি ভুল অনেকে করেন, কামড়ানো স্থানে ব্লেড বা ছুরি দিয়ে কেটে চিপে চিপে রক্ত বের করার চেষ্টা করেন। এ রকম অস্বাস্থ্যকরভাবে কাটাকাটির কারণে ইনফেকশন হতে পারে। 

Title 2

অনেকের ধারণা, আক্রান্ত স্থানে মুখ লাগিয়ে চুষে বিষ বের করলে রোগী ভালো হয়ে যাবেন। এরও কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। সাপের বিষ একবার শরীরে ঢুকে গেলে, সেটি চুষে বের করা সম্ভব নয়। 

সাপের বিষ

গ্রামাঞ্চলে সাপে কামড়ালে প্রথমেই আক্রান্তকে সাপুড়ে বা ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা যেসব চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। 

সাপুড়ে বা ওঝা

নির্বিষ সাপের কামড়ে মানুষ মারা যায় না, কিন্তু মানসিক আতঙ্কে মারা যেতে পারে। আক্রান্ত স্থান সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছতে হবে।

নির্বিষ সাপের

রোগীকেআধশোয়াঅবস্থায় রাখা ভালো। রোগী শ্বাস না নিলে মুখ দিয়ে শ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

আধশোয়া

কোন সাপ কামড় দিয়েছে, সেটা জানা জরুরি। কিছু লক্ষণ দেখলে সাপটি বিষধর কি না, বোঝা যায়। অনেক সময় কামড়ানোর পরে আশপাশের মানুষ সাপটিকে মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে রোগীর সঙ্গে মরা সাপটিও হাসপাতালে নিয়ে আসা উচিত। 

সাপ কামড়