9 JULY, 2024
BY- Aajtak Bangla
বাইক কেনার সময় অনেকেই বিভিন্ন দ্বন্দ্বে পড়েন যে কোন বাইকটি আপনার জন্য সঠিক হবে ড্রাম ব্রেক নাকি ডিস্ক ব্রেক।
আমাদের সঠিকভাবে চলাচল করার জন্য হাত কিংবা পায়ের ভালো থাকা যেমন জরুরি। তেমনি একটি বাইকের ক্ষেত্রে ভালো ব্রেক থাকাটা ততটাই জরুরি।
আপনি যদি বাইক কিনতে ইচ্ছুক হন তবে জেনে নিন ড্রাম ব্রেক ও ডিস্ক ব্রেকের মধ্যে পার্থক্য কী?
সাধারণত ছোটো গাড়িতে কিংবা কম মাইলেজ যুক্ত গাড়িতে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার হয়। ড্রাম ব্রেকে ব্রেকশু নামক একটি যন্ত্র থাকে যা ব্রেক ড্রামের ভিতরে ঘর্ষণ করে গাড়ি থামায়।
এই ব্রেকের সুবিধা হল এই ব্রেক রক্ষণাবেক্ষণে সুবিধা ও কম খরচ সাপেক্ষ।
ভারী ব্রেকিং যেখানে কম ব্যবহৃত হয় ও গাড়ির মাইলেজ ১০০ থেকে ১২৫ সিসির মধ্যে সেই সব গাড়িতে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার হয়।
ডিস্ক ব্রেক মূলত উন্নত যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। যেখানে গাড়ির মাইলেজ ১২৫ সিসির উপর সেখানে ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়।
ডিস্ক ব্রেকে একটি ডিস্ক রটার ও ব্রেক প্যাড থাকে, যা রটারের উপর চাপ দিয়ে গাড়িকে থামায়।
উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে বা জনবহুল শহরে যেখানে হঠাৎ ব্রেক দেওয়ার প্রয়োজন হয়, সেই সব স্থানে এই গাড়ি ব্যবহার করা হয়।
এই ডিস্ক ব্রেকের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল এটি দ্রুত কার্যকরী। যা হঠাৎ করে হাই স্পিড গাড়ি থামাতে সাহায্য করে।
আপনি যদি শহরাঞ্চলে বাস করেন তাহলে আপনার ডিস্ক ব্রেকের গাড়ি ব্যবহার করা উচিত। অন্যদিকে আপনি যদি কম খরচ করতে চান, তাহলে আপনি ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করতে পারেন।
ড্রাম ব্রেক এবং ডিস্ক ব্রেক উভয়েরই নিজস্ব সুবিধা রয়েছে। আমরা যদি বৃষ্টিতে গাড়ি পিছলে যাওয়া থেকে রক্ষা করার কথা বলি, তাহলে ডিস্ক ব্রেকের পারফরম্যান্স ভালো বলে মনে করা হয়।
এই ব্রেকটি ভেজা এবং পিচ্ছিল রাস্তায় ব্রেকিং এরিয়া থেকে জল দ্রুত সরিয়ে দেয়। যার কারণে আপনার ব্রেক লাগাতে সমস্যা হয় না এবং বাইকের টায়ার রাস্তায় পিছলে যায় না।
ড্রাম ব্রেকের ডিজাইন সম্পর্কে বলতে গেলে, এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়নি যে এটি আপনার টায়ারকে বৃষ্টিতে পিছলে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। বৃষ্টিতে এর পারফরম্যান্স ভালো নয়। ভেজা রাস্তায় হঠাৎ ব্রেক লাগাতে হলে ড্রাম ব্রেক বাইক থামাতে বেশি সময় লাগতে পারে। যার কারণে বাইক স্লিপিং ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।