3 APRIL, 2025
BY- Aajtak Bangla
আজকাল ইয়ারবাডের ট্রেন্ড অনেক বেড়েছে। মেট্রো হোক বা রাস্তা, অফিস হোক বা জিম, বেশিরভাগ মানুষ কানে ইয়ারবাড লাগিয়ে নিজেদের জগতে হারিয়ে যান।
গান, পডকাস্ট শোনা বা ফোনে কথা বলা যাই হোক না কেন, ইয়ারবাড আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা ইয়ারবাডের ক্রমাগত ব্যবহার নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এর অনেক ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
ইয়ারবাডের ক্রমাগত ব্যবহার কেবল আপনার শ্রবণ ক্ষমতাকেই প্রভাবিত করতে পারে না, বরং এটি আপনার স্বাস্থ্যের উপর আরও অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
দীর্ঘক্ষণ ইয়ারবাড পরলে কানের সংক্রমণ, ব্যথা এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও, আশেপাশের শব্দ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
ক্রমাগত উচ্চ ভলিউমে ইয়ারবাড ব্যবহার করলে আপনার কানের ভেতরের নরম কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা ধীরে ধীরে আপনার শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এই সমস্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ ডেসিবেলে গান শোনার ফলে স্থায়ী বধিরতাও দেখা দিতে পারে।
ইয়ারবাড আপনার কানের ভেতরে বাতাসের প্রবাহকে বাধা দেয়, যার ফলে আর্দ্রতা এবং তাপ থেকে যায়। এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে, যা কানের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। নোংরা ইয়ারবাড ব্যবহার করলে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
কানে ইয়ারবাড দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখলে কানে ব্যথা, চাপ এবং অস্বস্তি হতে পারে। কিছু লোকের ইয়ারবাডের আকৃতি বা মেটিরিয়াল নিয়েও অ্যালার্জি থাকতে পারে, যা কানে চুলকানি এবং জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
সবসময় ইয়ারবাড পরলে আপনার চারপাশের জগৎ থেকে আপনার বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়। আপনি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা, সাইরেন বা অন্যান্য সতর্কীকরণ শব্দ শুনতে পাচ্ছেন না, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। এই অভ্যাস জনসাধারণের স্থানে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং ভুল বোঝাবুঝির কারণও হতে পারে।
কিছু গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ক্রমাগত ইয়ারবাড ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ বাড়াতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি জোরে গান শোনেন বা ক্রমাগত কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে থাকেন।
Disclaimer:এই খবরটি শুধুমাত্র আপনাকে সচেতন করার জন্য লেখা হয়েছে। এটি লেখার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ তথ্যের সাহায্য নিয়েছি।