14 September, 2023

BY- Aajtak Bangla

v

  পুজোয় কাঞ্জিভরম  কিনবেন? নকল হইতে সাবধান

বিভিন্ন উৎসব-আয়োজনে শাড়ি বেছে নেন কমবেশি সব নারীই। নারী ও শাড়ির সম্পর্ক চিরকালীন। শাড়ি গায়ে জড়ালে সব নারীই হয়ে ওঠেন অনন্যা।

সামনেই বাঙালির  প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো আসছে। এখন অনেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কেনাকাটায়।

 পূজায় শাড়ি না হলে কি চলে! দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে অনেকেই শাড়ি কেনেন।

আপনিও যদি এবারের পুজোয় কাঞ্জিভরম শাড়ি কেনার কথা ভাবেন তাহলে  অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন।

আসল কাঞ্জিভরম সিল্কের রং উজ্জ্বল হয়। শা়ড়ি কেনার সময় দেখে নিন, জরিতে লাল সুতো রয়েছে কি না। শাড়ির উল্টো পিঠে জরির সুতোর গিঁট থাকলে, তা আসল কাঞ্জিভরমের লক্ষণ।

 শাড়ির আঁচলের কোনা থেকে বেশ কয়েক গোছা সুতো টেনে বার করে নিন। সেগুলি একত্র করে তার এক প্রান্ত আগুনের শিখার উপর ধরুন। যদি পোড়া চুলের মতো গন্ধ বেরোয় তা হলে বুঝবেন, সিল্কটি আসল।

 আসল কাঞ্জিভরম শাড়ি তৈরি করা হয় মালবেরি সিল্ক দিয়ে। কিছু ক্ষণ হাতে ঘষলেই তার মসৃণ, কোমল ভাব অনুভব করা যায়।

নানা রঙের সুতোর মিশেলে এই সিল্ক তৈরি হয়। বিভিন্ন দিক থেকে আলো পড়লে এই শাড়ির জমির রং দেখতে বিভিন্ন রকম লাগে।

যদি সিল্ক নকল হয়, তা হলে আলোর সঙ্গে শাড়ির রং বদলাবে না। সাদাটে দেখতে লাগবে।

সিল্ক যত হালকা হবে, তা ততই নমনীয় ও সূক্ষ্ম হবে। কাঞ্জিভরম সিল্ক যদি কোনও ভাবে আংটির মধ্যে দিয়ে গলিয়ে ফেলতে পারেন, তা হলে বুঝতে হবে, সেই সিল্কটি অকৃত্রিম।  যে সিল্ক যত হালকা, তা তত ভাল মানের।

মূল কাঞ্জিভরম শাড়ি ভারী নয় কারণ এতে বেশিরভাগ সিল্ক ব্যবহার করা হয়। আসল কাঞ্জিভরম শাড়িগুলি খুব হালকা হয়।

আসল কাঞ্জিভরম শাড়িতে সিল্কের সুতো ব্যবহার করা হয় যা খুব সূক্ষ্ম এবং চকচকে, নকল শাড়িতে সস্তা এবং নিম্নমানের সুতো ব্যবহার করা হয়।

কাঞ্জিভরম শাড়িতে সাধারণত বড় ডিজাইন এবং ঐতিহ্যবাহী প্যাটার্ন থাকে। আসল কাঞ্জিভরম শাড়িতে বোনা ডিজাইন এবং প্যাটার্নগুলি খুব জটিল এবং সুন্দর।

আসল কাঞ্জিভরম শাড়ি সনাক্ত করতে, আঁচল  বা শাড়ির ডিজাইনের অংশ উল্টে দেখুন। আপনি যদি ডিজাইনের অন্য দিকে সুতো  দেখতে পান তবে এটি আসল।

আপনি যদি কাঞ্জিভরম শাড়ি খুব সস্তায় পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার সতর্ক হওয়া উচিত। বেশিরভাগ আসল কাঞ্জিভরম শাড়ির দাম বেশি। অনেক সময় নির্মাতার লোগো বা ট্যাগও আসল কাঞ্জিভরম শাড়িতে লাগানো থাকে।