16 JUNE, 2025
BY- Aajtak Bangla
মাছে ভাতে বাঙালি। কিন্তু আমরা প্রতিদিন একই জাতের মাছ খাই না। নানা জাতের মাছ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রান্না হয় বাঙালি বাড়িতে। আর এর মধ্যে মাগুর হল একটি অতি পরিচিত মাছ।
কিন্তু জানেন কি, এই মাছ খেলে শরীরে কী হয়?
রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় ভোগা মানুষকে চিকিৎসকরা জিওল মাছ খেতে বলেন। জিওল মাছের মধ্যে মাগুর মাছ অন্যতম। এই মাছের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। বাজার থেকে কিনে এসব মাছ বাড়িতে রেখে খেতে পারেন।
তবে মাগুর সম্পর্কে ভালো করে জেনে তবেই খাওয়া উচিত।
মাগুর মাছে যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে, তেমনই খেতেও সুস্বাদু। ১০০ গ্রাম মাগুর মাছে আছে ৮৬ ক্যালোরি, ১৫ গ্রাম প্রোটিন, ২১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২৯০ মিলিগ্রাম ফসফরাস ও শূন্য দশমিক ৭ মিলিগ্রাম আয়রন। দেশি মাগুর মাছে শরীরের উপযোগী লৌহ অধিক পরিমাণে আছে। এগুলি সবই শরীরের নানা কাজে লাগে। তবে মাগুর কেনার আগে একটি কথা মাথায় রাখতেই হবে।
মাগুর মাছ বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। তবে এ মাছের ঝোল রান্না রোগীর খাদ্য হিসাবে কাজ করে। এই মাছে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে। আয়রন আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজে লাগে। তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমানো।
মাগুর মাছ চোখের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা ফসফরাস চোখের জন্য খুব ভালো। তাই বয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এই মাছ দারুণ কাজে লাগতে পারে।
মাগুর মাছ সহজপাচ্য এবং মাছের কাঁটা নরম হওয়ায় সহজেই হজম হয়ে শরীর গঠনে ও রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করে। যে সব রোগী ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত মাগুর মাছ খেলে এই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়।
এছাড়াও নিয়মিত মাগুর মাছ খেলে কফের সমস্যা কমে। সদ্য মা হয়েছে যাঁরা, তাঁদের দুধ ও শক্তি বাড়ে। ফলে এই মাছ তাঁদের জন্যও খুবই উপকারী হতে পারে।
বাতের ব্যথা কমাতে মাগুর মাছের কোনও জুড়ি নেই। যাঁদের হাড় দুর্বল হয়েছে, কোমরে আর পায়েবাতের সমস্যা দেখা দিয়েছে, তাঁরা এই মাগুর মাছ খেতে পারেন। এতে ব্যথা কমার সম্ভাবনা থাকে।
তবে এত উপকারী হলেও মাগুর কেনার সময়ে কয়েকটি কথা মাথায় রাখতেই হবে। মাগুর মাছ নানা আকারের হতে পারে। কিন্তু মাছের আকার যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ে, সে জন্য অনেক মাছচাষিরা নানা রকমের হরমোন ইনঞ্জেক্ট করেন মাছের শরীরে। সেই জন্য বাজারে গিয়ে বড় আকারের মাগুর মাছ দেখলেও তা কিনবেন না, এড়িয়ে যাবেন।
ছোট সাইজের মাগুর মাছ কিনুন। তাতে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে। হাইব্রিড মাগুর মাছ স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।