4 July, 2024
BY- Aajtak Bangla
বাঙালির কাছে মুড়ি এক বিশেষ জায়গা ধরে রেখেছে। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা মুড়ির সঙ্গে তেলেভাজা হোক বা চানাচুর খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে।
হালকা খিদে মেটানো থেকে মাথা যন্ত্রণায় স্বস্তি পাওয়া— বাঙালির জীবনে মুড়ির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যার টিফিনে মুড়ির সঙ্গে চপ কিংবা শিঙাড়া অনেকেরই পছন্দের টিফিন।
আবার গ্যাস, অম্বল কিংবা মাইগ্রেনের সমস্যায় মুড়ি খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। মুড়ি খাওয়ার আরও অনেক সুফল রয়েছে।
মুড়িতে যে ধরনের কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, তা বিপাকহার উন্নত করতে সাহায্য করে। বিপাকহারের সঙ্গে জড়িত নানা রকম রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে মুড়ি।
প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের গুণে ভরপুর মুড়ি। যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম এবং জ়িঙ্ক রয়েছে মুড়িতে। শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে সাহায্য করে এই খনিজগুলি। পাশাপাশি, বিপাকহারের মানও ভাল রাখতে সাহায্য করে।
মুড়িতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই হজমের সমস্যা থাকলে চোখ বন্ধ করে মুড়ি খেতে পারেন।
পাশাপাশি, অন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে এই খাবার। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে এই ফাইবার।
আপনি যদি সারা দিনে ৪ বাটি মুড়িও খেয়ে ফেলেন, তাও আপনার ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। মুড়িতে ক্যালরি থাকে একদম কম পরিমাণে, তাই এটি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সঠিক ডায়েট হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
মুড়িতে থাকে ফাইবার, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন। তাই মুড়ি খেলে আপনার পেট ভর্তি থাকবে তো বটেই, পাশাপাশি আপনার হাড়ও থাকবে শক্ত।
আপনি নিশ্চয়ই জানবেন, পেটের সমস্যা হলেই বাড়ির সদস্যরা বা চিকিৎসকরা মুড়ি খেতে বলেন। মুড়ি খেলে একদিকে যেমন আপনার গ্যাস বা বুক জ্বালার মতো সমস্যা কমে যায় তেমন প্রতিদিন মুড়ি খেলে আপনার গ্যাস জনিত কোনও সমস্যাই হবে না।
মুড়িতে সোডিয়ামের মাত্রা থাকে একদম কম, তাই আপনার যদি হাই ব্লাড প্রেসার থাকে, তাহলেও আপনি স্বচ্ছন্দে খেতে পারেন বাটি বাটি মুড়ি।
মুড়িতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার ইমিউন সিস্টেম বাড়ায় এবং আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
মুড়িতে রয়েছে নিউরোট্রান্সমিটার পুষ্টিগুণ যার ফলে মুড়ি খেলে মস্তিষ্কের স্নায়ু উদ্দীপনাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতাও পাওয়া যায়। মুড়ি মস্তিষ্কের উন্নতিতে সাহায্য করে।মুড়ি খাওয়ার আরেকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো মুড়ি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই মুড়িকে দৈনিক খাদ্যতালিকায় রাখা যেতেই পারে।