24 APRIL, 2025

BY- Aajtak Bangla

প্রতিদিন চিকেন খেলে শরীরে এসব হয়, জানলে চমকে উঠবেন

চিকেনকে দীর্ঘদিন ধরেই একটি স্বাস্থ্যকর, উচ্চ-প্রোটিন এবং সুস্বাদু খাবার হিসেবে দেখা হয়ে আসছে। চিকেন গ্রিলড হোক, স্যুপ হোক বা ফ্রাই হোক, প্রতিটি খাবারই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর  বলে দাবি করা হয়।

ফিটনেস প্রেমী এবং ডায়েট সচেতনদের কাছে, চিকেন সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রোটিনের উৎস। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা চিকেন  প্রেমীদের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

আমেরিকার বিখ্যাত জার্নাল নিউট্রিয়েন্টস-এ প্রকাশিত এই গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত পরিমাণে চিকেন  খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রতি সপ্তাহে ৩০০ গ্রামের বেশি মুরগির মাংস খান তাদের পেটের রোগ এবং ক্যান্সারে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৭% বেশি। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি দ্বিগুণ দেখা গেছে।

এই গবেষণায় ৪০,০০০ এরও বেশি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং প্রায় ১৯ বছর ধরে তাদের উপর নজর রাখা হয়েছিল। এই অংশগ্রহণকারীদের খাদ্যাভ্যাস, জীবনধারা, চিকিৎসার ইতিহাস এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।

গবেষণাটি ১৯ বছর ধরে চলে

খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য, একটি বিশেষ খাদ্য প্রশ্নাবলী তৈরি করা হয়েছিল যা রেড মিট, সাদা মাংস এবং হাঁস-মুরগির উপর তথ্য সংগ্রহ করেছিল। অবাক করার মতো বিষয় ছিল যে, যারা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মুরগির মাংস খেয়েছিলেন তাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সারে মৃত্যুর হারও সবচেয়ে বেশি ছিল। গবেষণায় আরও স্পষ্ট করা হয়েছে যে এই বিপদ রেড মিটের  চেয়েও বেশি বলে প্রমাণিত হয়েছে।

তবে, এই গবেষণারও কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। উদাহরণস্বরূপ, মুরগি কীভাবে রান্না করা হয়েছিল (ভাজা, গ্রিল করা বা প্রক্রিয়াজাত করা) সে সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না। এছাড়াও, শারীরিক কার্যকলাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

গবেষণাটি কী বলে?

তবে, এই গবেষণার অর্থ এই নয় যে আপনার মুরগি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত, বরং মুরগির আকার, পরিমাণ এবং ভারসাম্যের দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন, যেমন মাছ, ডাল, সয়া বা অন্যান্য উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন যোগ করা, আপনার জন্য আরও ভালো কাজ করতে পারে।

Disclaimer:এই খবরটি শুধুমাত্র আপনাকে সচেতন করার জন্য লেখা হয়েছে। এটি লেখার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ তথ্যের সাহায্য নিয়েছি। যদি আপনি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু পড়েন, তাহলে অবশ্যই তা গ্রহণ করার আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।