12 Jan, 2025

BY- Aajtak Bangla

খালি পেটে লবঙ্গ খেলেই অন্য খেলা শুরু হয়, জানতেন?

লবঙ্গ হজমে সহায়তা করে। একইভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে অ্যাসিডিটি কমাতেও সাহায্য করে। লবঙ্গ হজম শক্তি বাড়ায়। 

ইউজেনল হলো লবঙ্গের বেদনানাশক বৈশিষ্ট্য। নিয়মিত খালি পেটে লবঙ্গ খেলে মাইগ্রেন ও মাথাব্যথা কমে।

লবঙ্গে ম্যাঙ্গানিজ ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো উপাদান থাকে, যা হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

শীতজনিত সর্দি, ব্রঙ্কাইটিস, সাইনাস, ভাইরাল ইনফেকশন সবই কমাতে পারে লবঙ্গ। লবঙ্গের অ্যান্টিভাইরাল ও রক্ত পরিশোধন বৈশিষ্ট্য রক্তের বিষ কমায়। 

শুকনা লবঙ্গের কুঁড়ি লিভারে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলে। ভারতীয় পুষ্টিবিদ আরোশি গার্গের মতে, এটি নতুন কোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। লিভারকে ডিটক্স করে।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে লবঙ্গ। ইনসুলিন নিঃসরণ উন্নত করে। বিটা কোষের কার্যকারিতা বাড়ায়।

যাত্রাপথে বমি বমি ভাব দূর করতে মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখা যেতে পারে। এটি মুখে সুগন্ধি তৈরি করে বমি বন্ধে বেশ কাজ করে। বমির ভাব দূর করতে মুখে লবঙ্গ নিয়ে চুষতে পারেন অন্তঃসত্ত্বা নারীরাও।

সর্দি–কাশি ও ঠান্ডা প্রতিরোধে লবঙ্গকে মহৌষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এটি চিবিয়ে রস গিলে খেলে বা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে ঠান্ডা লাগা, অ্যাজমা, সর্দি, কফ, গলা ফুলে ওঠা আর শ্বাসকষ্টে বেশ সুফল পাওয়া যায়।

সাইনোসাইটিসের রোগীদের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে লবঙ্গ ব্যবহার করেন অনেকে। সাইনাসের কষ্ট কমাতে লবঙ্গের বিশেষ উপাদান ইগুয়েনাল সাহায্য করে।

মাথাব্যথা ও মাথার যন্ত্রণা কমাতে লবঙ্গের জুড়ি নেই।

পেট ফাঁপা ও পেটের অসুখ নিরাময়ে লবঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ উপাদান এনজাইম বৃদ্ধি করে পেটব্যথা, অজীর্ণ, বদহজম, খিদে না হওয়া, পেটের গ্যাস ও বায়ু এমনকি কলেরা বা আন্ত্রিক রোগ নিরাময় করে।

লবঙ্গ কামোদ্দীপক। এর সুবাস অবসাদ দূর করে, শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করে।