18 April, 2024
BY- Aajtak Bangla
দাদ কিন্তু ভীষণরকম ছোঁয়াচে একটি অসুখ। এটি মাথার ত্বক থেকে শুরু করে হাত, পা, পিঠ এবং শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে দেখা দিতে পারে।
শরীরের যেসব স্থানে সহজে ঘাম শুকোয় না যেমন কুঁচকি বা বগলের মতো জায়গা সেসব স্থানে এটি বেশি হয়।
দাদ প্রথমে থাকে লালচে গোল গোল বা ডিম্বাকৃতির ছোপের মতো। এরপর চুলকানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর আকৃতিও বাড়তে থাকে।
দাদ দূর করার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। তবে সেসব ওষুধে থাকতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়।
যে কারণে সবচেয়ে ভালো হয় এই সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দাদের সমস্যা দূর করা সহজ হবে।
দাদ আক্রান্ত স্থান সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। এভাবে পরিষ্কার রাখলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয় থাকবে না।
দাদের সংক্রমণ রোধ করার ক্ষেত্রে সাবান মিশ্রিত জল বেশ কার্যকরী। সেজন্য আপনাকে প্রতিদিন আক্রান্ত স্থান জল এবং সাবান দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর সেটি ভেজা রাখলে চলবে না। শুকনো ও পরিষ্কার কাপড় দিয়ে আলতো হাতে মুছে নিতে হবে। নিয়মিত এভাবে পরিষ্কার করলে উপকার পাবেন।
হলুদে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। উপকারী এই ভেষজ কাজ করে অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবেও। যে কারণে এটি ত্বকের যেকোনো ধরনের সংক্রমণ রোধ করতে পারে।
দাদ দূর করার জন্য হলুদের ব্যবহার করতে চাইলে প্রথমে তাজা হলুদ বাটা কিংবা হলুদ গুঁড়া নিন। এরপর তাতে সামান্য জল মিশিয়ে ঘন একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। হলুদের এই পেস্ট শরীরের আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। এভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন দ্রুতই।
নারিকেল তেলের রয়েছে মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। যে কারণে এই তেলও দাদের সংক্রমণ দূর করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। নারিকেল তেল দাদ ছাড়াও অন্যান্য ছত্রাক সংক্রমণের ক্ষেত্রে একই ভূমিকা রাখতে পারে।
খাঁটি নারিকেল তেল নিয়ে গরম হতে দিন। গরম হলে কিছুটা ঠান্ডা করে হালকা গরম অবস্থায় আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। দিনে তিনবার এভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
নিম পাতা যে জীবাণু বিনাশ করতে খুবই কার্যকরী সে কথা আমরা সবাই জানি। নিম পাতা বেটে যদি প্রতিদিন দাদের উপর লাগানো যায় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এই বিশ্রী সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।