18 JULY, 2023
BY- Aajtak Bangla
বর্ষা প্রচণ্ড গরমের পরে স্বস্তি নিয়ে আসে। তবে এই সময় অনেক ধরনের রোগও হয়। চোখ শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল অঙ্গগুলির মধ্যে একটি।
বর্ষাকালে চোখের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলবাহিত রোগ এবং পরিবেশে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে চোখকে প্রভাবিত করে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বেশি হয়।
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা চোখে হাত দেওয়ার আগে সাবান এবং জল দিয়ে ভালভাবে হাত ধুয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যাতে অসাবধানতাবশত আপনার চোখে কোনও ভাইরাস বা চোখের সংক্রমণ না ছড়ায়।
সংক্রমণ প্রতিরোধ বাচ্চাদের নোংরা হাত বা ভেজা তোয়ালে দিয়ে তাদের চোখ ঘষতে দেবেন না, কারণ এতে সংক্রমণ হতে পারে বা কর্নিয়াতে আঁচড় লেগে যেতে পারে।
অভিভাবকদের উচিত তাদের বাচ্চাদের মুখ ও চোখ মোছার জন্য আলাদা পরিষ্কার তোয়ালে দেওয়া। এতে করে তারা কোনো ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা এড়াবে।
চোখের এলার্জি প্রতিরোধ প্রবল বৃষ্টি বা প্রচণ্ড বাতাস হাওয়ায় শিশুদের চোখে ধুলো কণা বা ফুলের পরাগ ঢুকে যেতে পারে। সে জন্য জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখতে হবে।
শিশুদেরকে চোখ ধোয়ার নির্দেশ দিতে হবে এবং চোখে কোনো জ্বালাপোড়া বা কোনো ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
জলবাহিত রোগ প্রতিরোধ বর্ষাকালে সর্বত্র জল জমে থাকতে দেখা যায়। আপনার নিশ্চিত করা উচিত যে শিশুরা এই ধরনের বদ্ধ জলের আশেপাশে খেলা না করে।
যদি শিশু সাঁতার পছন্দ করে, তবে নিশ্চিত করুন যে তারা জলরোধী গগলস ব্যবহার করছে কারণ জলে ক্লোরিন বা অন্যান্য রাসায়নিক রয়েছে যা চোখের ক্ষতি করতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য পুষ্টি চোখের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুষম খাদ্য খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ যাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজি এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার, যেমন গাজর, পালং শাক এবং মিষ্টি আলু।
নিয়মিত চোখ পরীক্ষা চোখের সঠিক যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এর জন্য নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা জরুরি। শিশুর চোখে জ্বালাপোড়া বা কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে।