BY- Aajtak Bangla
সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির শারীরিক গঠন থেকেই তাঁর চরিত্র সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব। শরীরের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য থেকেই ব্যক্তির অভ্যাস, স্বভাব, প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা করে ফেলা সম্ভব।
আর ঠিক সেই একই নিয়মে কোনও ব্যক্তির ভুরু দেখেই তাঁর ব্যক্তিত্ব কেমন, তা বলে দেওয়া সম্ভব।
প্রত্যেকেরই ভুরু আলাদা-আলাদা আকারের হয়। কারও ভুরু ঘন, কারও হালকা। আবার অনেকের দুইটি ভুরুর মাঝে কোনও ফাঁক থাকে না।
কালো ভুরু: এই ধরনের ব্যক্তিরা আর্থিক দিক দিয়ে ভাগ্যবান হন। এঁদের অনেক ধনসম্পদ থাকে। কিন্তু একটাই সমস্যা। এই জাতকদের টাকা আসতে প্রথমে কিছুটা সময় লাগে।
হালকা ভুরু: সামুদ্রিক শাস্ত্র বলছে, ভুরু হালকা থাকা ব্যক্তিরা কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অনেক ভাবনা-চিন্তা করেন। কোনও কাজে তাড়াহুড়ো করা এঁরা পছন্দ করেন না। সাধারণত এই জাতকদের অর্থাভাব থাকে না।
অসমান ভুরু: শাস্ত্র অনুযায়ী, যাঁদের ভুরু অসমান, উঁচু-নিচু হয়, তাঁদের অর্থাভাব লেগেই থাকে। এই জাতকদের মাথাও খুব একটা ঠাণ্ডা হয় না। চট করে রেগে যান।
ঘন ভুরু: ঘন ভুরুর ব্যক্তিরা অন্যদের তুলনায় একটু আলাদা স্বভাবের হন। কিছুটা আপনমনা থাকেন। অনেকেই এমন ব্যক্তিদের একটু জটিল ভাবেন। এমন ব্যক্তিদের অর্থাভাব থাকে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা টাকা সঞ্চয় করতে পছন্দ করেন।
জোড়া ভুরু: সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী জোড়া ভুরুর জাতকরা বেশ বুদ্ধিমান হন। এঁরা যথেষ্ট উচ্চাকাঙ্খী হন। লক্ষ্য অর্জনের জন্য এঁরা একসঙ্গে একাধিক কাজও করতে পারেন।
এই জাতকদের টাকার অভাব থাকে না। স্বভাবের দিক থেকেও এঁরা বেশ মিষ্টভাষী হন। সেই কারণে এই জাতকদের কোনও শত্রু থাকে না। সবার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারেন।