17 NOV, 2024
BY- Aajtak Bangla
আলু চাষ শুরু হতেই রাসায়নিক সারের ব্যাপক কালোবাজারি ও ভেজাল সারের জেরে চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।
অসাধু ব্যবসায়ীরা চাষিদের থেকে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। সারের চাহিদা ও সরবরাহের পার্থক্যের সুযোগ নিচ্ছে নকল সার বিক্রেতারা।
সার কোম্পানির ছাপ মারা বস্তায় নকল সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
আলু চাষে ডিএপি সারের চাহিদা বেশি। বিঘা প্রতি দেড় কুইন্টাল এই সার লাগে কমবেশি।
আর এই সারেই সবচেয়ে ভেজাল হচ্ছে বলে দাবি করেছে কৃষকরা।
বালিতে ধান ও গমের খড় মেশানো হয়। এরপর তাতে সারের রং মেশানো হয় এবং সার বলে বস্তায় ভরে বিক্রি করা হয়।
কৃষকরা উৎপাদন বাড়াতে সার ব্যবহার করে। কিন্তু নকল সারে পুষ্টির অভাবে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পরিবর্তে কমে।
কৃষি বিভাগের মতে, আসল অর্থাৎ বিশুদ্ধ ডিএপি দানাদার এবং শক্ত। আসল ডিএপি সারের দানা বাদামি, কালো এবং বাদাম রঙের।
নখ দিয়ে আঁচড়ালে আসল DAP সহজে ভাঙে না। এছাড়াও খাঁটি সারের দানা সমান আকারের হবে, কোনটি খুব ছোট বা খুব বড় হবে না।
ডিএপির কিছু দানা নিয়ে চুন মিশিয়ে হাতে নিয়ে গুঁড়ো করলে তীব্র গন্ধ বের হয়। উপরোক্ত পদ্ধতিতে পরীক্ষা করার পর যদি সারের রূপ পরিবর্তন হয়, তাহলে ভেজাল শনাক্ত করতে পারবেন।