কলকাতার সেরা মিষ্টি পাওয়া যায় এখানে, রইল  ১০ ঠিকানা

11 JUNE, 2025

BY- Aajtak Bangla

মিষ্টি আর বাঙালির মধ্যে এক অবিচ্ছেদ্য সুসম্পর্ক সেই প্রাচীন কাল থেকে রয়েছে । খাওয়ার শেষ পাতে অথবা কোন শুভ অনুষ্ঠানে মিষ্টি ছাড়া বাঙালির কিছুতেই চলে না।

তাই কলকাতা সহ বাংলার যে কোনও জায়গায় গেলেই আর কিছু না থাক মিষ্টির দোকান অবশ্যই চোখে পড়বে।

বাংলা ও বাঙালির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত  মিষ্টি। এখানে এমনই  মিষ্টির দোকানের তালিকা রইল যেখানে শহরের সেরা মিষ্টি পাওয়া যায়।

 বউবাজারের এ দোকানে গেলে খেতে হবে আইসক্রিম সন্দেশ, রোজ ক্রিম সন্দেশ, পেস্তা আবার খাবো সন্দেশ ও আমদই।

ভীম চন্দ্র নাগ

এই প্রতিষ্ঠান মিষ্টির জগতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। কে সি দাসে গেলে অবশ্যই ট্রাই করুন নানান ফিউশন রসগোল্লা, ব্ল্যাক কারেন্ট রসগোল্লা, অমৃতকুম্ভ।

 কে সি দাস

১৮৮৫  সালে বলরাম মল্লিক এবং রাধারমণ মল্লিকের পথ চলা শুরু। এখানকার গন্ধরাজ সন্দেশ, রাবড়ি, ছানার পায়েস খেতে ভুলবেন না।

বলরাম মল্লিক

মনোহরা, দরবেশ ও নানা স্বাদের সন্দেশ খেতে সেন মহাশয়ে চলে যেতে পারেন। শতাব্দী প্রাচীন এই দোকানের আউটলেট রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায়।

সেন মহাশয়

রামদুলাল সরকার স্ট্রিট, হেদুয়াতেই একমাত্র এদের পাবেন। ১৮৪৪ সালে পথ চলা শুরু। এখানকার নলেন গুড়ের সন্দেশ, সৌরভ সন্দেশ, চকোলেট সন্দেশের মধ্যে চকো তুফান, চকোলেট মালাই রোলের জুড়িমেলা ভার। জলভরা ‘মাস্ট ট্রাই’ আইটেম।

নকুড় 

নির্মল চন্দ্র স্ট্রিটের এই মিষ্টির দোকান কলকাতা শহরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। এদের রোজ ক্রিম সন্দেশ এবং চন্দন ক্ষীরের মতো মিষ্টির স্বাদ ভোলার মতো নয়। নেহেরুভোগ, রাম বোঁদে বিখ্যাত।

নবকৃষ্ণ গুঁই

নতুন বাজারের সম্রাট নলিন চন্দ্র দাস অ্যান্ড সন্স। এছাড়াও এদের রাসবিহারি, হেদুয়া, নিউ টাউন এবং ইকো পার্কের বাংলা মিষ্টি হাবে শাখা রয়েছে। এদের বাটার স্কচ জলভরা সন্দেশের জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া।

নলিন চন্দ্র দাস 

১৯০৭ সালে হীরালাল ঘোষের হাত ধরে চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের পথ চলা শুরু হয়। ৩৪ বি, শোভাবাজার স্ট্রিটের চিত্তরঞ্জনের রসগোল্লার চাহিদা এখনও গগনচুম্বী। চেখে দেখবেন রসগোল্লা, মধুপর্ক, রসোমালাই ও রাজভোগ।

চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার

বিবিগাঙ্গুলি স্ট্রিট ছাড়াও মানিকতলা, লালবাজার, পার্ক স্ট্রিট, দমদম, গোলপার্ক ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় শাখা রয়েছে এদের। প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো এই মিষ্টির দোকান আজও জনপ্রিয়তার শিখরে। গাঙ্গুরামের ইন্দ্রাণী, রসমালাই, ক্ষীরের চপ, প্রাণহরা, প্যারাডাইস, দিলখুশ, ক্ষীর চমচম, আবার খাব, লাইট ডিলাইট, আম সন্দেশ বিখ্যাত।

গাঙ্গুরাম

 ১৯৭৬ সালে একটা ছোট্ট দোকান থেকে শুরু। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় বাঞ্ছারাম ঘোষকে। এদের বেকড মিষ্টি, পুলি পিঠে এবং মিহিদানার জনপ্রিয়তা কম নয়। বাঞ্ছারামের ভ্যানিলা বা স্ট্রবেরি সন্দেশ চেখে না দেখলেই নয়।

বাঞ্ছারাম