04 MARCH, 2025
BY- Aajtak Bangla
বাংলার মিষ্টি গোটা বিশ্বে বিখ্যাত। খাওয়া দাওয়ার পরে মিষ্টি পাতে না পড়লে বাঙালির মন ভরে না। দেখে কোন জেলায় কোন মিষ্টি বিখ্যাত।
মিষ্টি বললেই যার কথা প্রথম মনে পড়ে তা হল রসগোল্লা। রসগোল্লা হল মিষ্টির রাজা। ১৮৮৬ সালে বাগবাজারের নবীন চন্দ্র দাস প্রথম নরম তুলতুলে সাদা রসগোল্লা তৈরি করেন।
ল্যাংচা এক রকমের রসের মিষ্টি। এর রং হয় কালচে বাদামী। পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের ল্যাংচা বিখ্যাত।
সরভাজা কৃষ্ণনগরের একটি বিখ্যাত মিষ্টি। দুধের সর ও ঘি দিয়ে তৈরি এই মিষ্টির সুনাম রয়েছে। কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়াও বিখ্যাত ও জনপ্রিয় এক মিষ্টি।
বর্ধমানের সীতাভোগ বাংলার এক প্রসিদ্ধ মিষ্টি। এটা অনেকটা বাসমতী চালের ভাতের মত দেখতে হয়।
কনকচূড় ধানের খই, খেজুর গুড় ও গাওয়া ঘিয়ের তৈরী হয় মোয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর শহর এই মিষ্টির জন্য খুব বিখ্যাত।
নবদ্বীপের দই বাংলার আরেকটি সবচেয়ে বিখ্যাত মিষ্টি, যার উৎপত্তি নদিয়া জেলার নবদ্বীপ।
রসকদম মালদার বিখ্যাত মিষ্টি। রসকদমের ভেতরে থাকে ছোট একটি রসগোল্লা আর তার উপর থাকে ক্ষীরের পুরু স্তর। তারও উপরে থাকে চিনি মাখানো পোস্ত দানা।
বীরভূমের মোরব্বা কড়া মিষ্টি। রসে ডোবানো একপ্রকার মিষ্টি। যা সাধারণত কোনও সবজিকে বিশেষভাবে জারিত করে প্রস্তুত হয়। যেমন পেঁপের মোরব্বা, কুমড়োর মোরব্বা, পটলের মোরব্বা ইত্যাদি।
ম্যাচা বা মেচা বাঁকুড়া জেলার এক জনপ্রিয় মিষ্টি। একে অনেক সময় ম্যাচা সন্দেশও বলা হয়।
কাঁথির কজু বরফি বাংলায় বেশ জনপ্রিয়। ভারতের নানা জায়গায় এই মিষ্টি পাওয়া গেলেও কাঁথির কাজু বরফির স্বাদই আলাদা।
বাবরসা হল পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাই এলাকার একটি মিষ্টি।
জলপাইগুড়ির বেলাকোবায় এই চমচম প্রথম তৈরি হয়। চমচমের প্রধান উপাদান ছানা, ময়দা, চিনির রস ও খোয়া ক্ষীর।