21 Oct, 2024
BY- Aajtak Bangla
আমাদের দেশে এখন অনেক বিয়ের আয়োজনই হয় লম্বা সময় ধরে। এনগেজমেন্ট, প্রিওয়েডিং ফটোশুট, গায়ে হলুদ, মেহেদি সন্ধ্যা-সহ নানা আয়োজনে রাখা হয় উচ্চ ক্যালরির খাবার-দাবারের ব্যবস্থা।
বিয়ে বা বউভাতের জম্পেশ খানাপিনা তো আছেই। তবে এটাও ঠিক, নিজের বিয়ের খাবার হয়তো কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার সুযোগ হয় না!
বিয়ের পর শুরু হয় আত্মীয়স্বজনের বাসায় নেমন্তন্নের পালা। সেখানেও ভূরিভোজের আয়োজন। নবদম্পতি একটু আলাদাভাবে সময় কাটাতে চান? তো সেই কোনো না কোনো রেস্তোরাঁয় যাওয়া, সঙ্গে অবধারিতভাবে কিছু বাড়তি খাওয়াদাওয়া।
মধুচন্দ্রিমায় নতুন দেশে গিয়ে নিত্যনতুন পদ চেখে দেখার লোভটাও সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। মোদ্দাকথা, বিয়ের আয়োজনের শুরু থেকে বিয়ে–পরবর্তী বেশ কয়েকটা দিন একটানা উচ্চ মাত্রায় ক্যালরি গ্রহণ হয়েই যায়।
আবার এই বাড়তি ক্যালরি পোড়ানোর সুযোগটাও এ সময়ে একটু কম থাকে। এতসবের মধ্যে শরীরচর্চার সময় কোথায়, বলুন! সব মিলিয়ে ওজনটা তাই বাড়তেই থাকে।
জন্মনিয়ন্ত্রণপদ্ধতির সঙ্গেও ওজনের সম্পর্ক রয়েছে। হরমোনযুক্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন কিংবা হরমোনভিত্তিক জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন গ্রহণ করা হলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি বাড়ে।
মিষ্টি, কেক, কোক খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। সেই কারণেও শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
বিয়ের পর খাওয়া-দাওয়ার ধরণ, খাওয়ার পরিমাণ ও সময় সবকিছুই বদলে যায়। ফলে ওজন বাড়তে পারে।
দেখা গেছে, যে নারীদের মায়ের ওজন বিয়ের পর বেড়েছে, তাদের মেয়েদের মধ্যেও অনেক ক্ষেত্রে সেই প্রবণতা চোখে পড়েছে। বিষয়টিকে মহিলারা বলেন 'বিয়ের জল।'
বিয়ের পরে নতুন কয়েকটি দায়িত্ব এসে পড়ে। সংসারের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রটিও সমান দক্ষতায় সামাল দিতে হয়। ফলে মানসিক চাপ বাড়ে ঘুম কমে যায়। ফলে মোটা হয় মেয়েরা।