BY- Aajtak Bangla
14th November, 2024
ঠান্ডার মরশুমে জলের ভেতরে থাকা মাছেদের সর্দি লাগে। শুনতে হয়ত আজব লাগলেও, এটা একেবারে সত্যি।
এরকম অবস্থায় জলের ভেতর থেকেও তারা নিজেদেরকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখে, আসুন জেনে নিই।
নদী, সমুদ্র ও ঝিলে থাকা মাছেদের তুলনায় পুকুরে বসবাস করা মাছেদের সর্দি-ঠান্ডা বেশি লাগে। কারণ পুকুরের জমে থাকা জল দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৎস্য বিশেষজ্ঞদের কথা যদি বিশ্বাস করা হয়, এমনকী ২৪ ঘণ্টা জলে থাকা মাছেদেরও ঠান্ডা লাগে। শীতের দিনগুলোতে তারাও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এই সময় মাছকে ঠান্ডা ও রোগ থেকে বাঁচাতে অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মাছ চাষিরাও নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পুকুরে এনেক ওষুধ স্প্রে করে। যাতে পুকুরের জলের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
আবার মাছেরা ঠান্ডা থেকে বাঁচতে তাদের জায়গা পরিবর্তন করে। প্রজাতি অনুসারে, পুকুরে মাছের থাকার নিজস্ব জায়গা রয়েছে।
কেউ ভূ-পৃষ্ঠে বাস করতে পছন্দ করে আবার কেউ নীচে। কোনও কোনও মাছ জলের মাঝখানে থাকে।
জল ঠান্ডা হতেই মাছেরা ভূ-পৃষ্ঠে ও পুকুরের খুব নীচে চলে যায়। কারণ ভূ-পৃষ্ঠের তুলনায় পুকুরের নীচের জল স্বাভাবিক থাকে।
মাছ চাষীরা মাছেদের উষ্ণতা দেওয়ার জন্য অনেক ব্যবস্থা নেয়। যখন জলের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নীচে নেমে যায়, তখন মাছেদের গরম রাখতে উষ্ণ জলে স্নান করানো হয়।
জল স্বাভাবিক রাখতে পুকুরে জল দেওয়া হয়। এটি করলে দুটি জিনিস ঘটে। প্রথমত, জাল ফেলার সঙ্গে সঙ্গে পুকুরে মাছ দ্রুত সাঁতার কাটতে শুরু করে।
দ্বিতীয়ত, জাল ফেলার ফলে জলে উত্তালতা সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে ঠান্ডা জল স্বাভাবিক হতে থাকে।