24 JULY, 2024
BY- Aajtak Bangla
বলা হয় যে শিশুরা ভেজা মাটির মতো, তাদের সঠিক আকার দেওয়া এবং তাদের লালনপালন করা পিতামাতার কাজ। প্রতিটি পিতামাতা তাদের সন্তানের সর্বোত্তম লালন-পালন করতে চান।
প্রত্যেক বাবা-মাই চান যে তাদের সন্তানরা বুদ্ধি, মানসিক এবং আবেগগতভাবে শক্তিশালী হোক। আপনিও যদি আপনার সন্তানকে বুদ্ধিমান করতে চান তবে অবশ্যই এখানে উল্লেখিত ব্যবস্থাগুলি অনুসরণ করুন।
এই ব্যবস্থাগুলি শুধুমাত্র আপনার শিশুকে বুদ্ধিমান করে তুলতে সহায়ক হবে না বরং তাকে আরও সৃজনশীল এবং আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
বাচ্চাদের কোর্স ছাড়াও বই পড়তে উৎসাহিত করুন। এতে শুধু শিশুদের জ্ঞানই বাড়ে না কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পায়। আপনার শিশুর মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য আপনি তাকে ঘুমনোর সময় গল্পও বলতে পারেন, এতে তার আগ্রহ বাড়বে এবং সে নিজেও বই পড়তে শুরু করবে।
ইতিবাচকতা এমন একটি গুণ যা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ধৈর্য ধরে রাখতে এবং সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে সহায়তা করে। শিশুদের মধ্যে এই গুণটি গড়ে তোলার জন্য, তাদের প্রতিটি পরিস্থিতির ইতিবাচক দিকে মনোনিবেশ করতে অনুপ্রাণিত করুন। ইতিবাচক চিন্তা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং শিশুদের আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়।
শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য শিশুদের ভালো অভ্যাস শেখান। নিজেকে পরিষ্কার রাখা, সময়মতো ঘুমনো ও ঘুম থেকে ওঠা, প্রতিদিন পড়াশুনা করা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মতো অভ্যাসগুলো শিশুদের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা ও ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বাচ্চাদের বাড়ির বাইরে খেলতে উৎসাহিত করুন। সাইকেল চালানো এবং সাঁতারের মতো ব্যায়ামের মাধ্যমে শিশুদের শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখুন।
শিশুরা সাধারণত কৌতূহলী হয় এবং ঘন ঘন প্রশ্ন করে। বাবা-মায়েরা কখনও কখনও তাদের সন্তানদের এই অভ্যাসের জন্য বিরক্ত হন, তবে তাদের যতটা সম্ভব প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করুন। এটি তার অনুসন্ধিৎসু স্বভাব বজায় রাখবে যাতে সে যেকোন বিষয়ে আরও জানতে সক্ষম হবে। এভাবে শিশুদের জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।