6 February 2024
BY- Aajtak Bangla
আজকাল, এই ব্যস্ত জীবনে, শারীরিক এবং মানসিক উভয়ভাবেই ফিট থাকা আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে, লোকেরা তাদের শারীরিক সুস্থতার দিকে অনেক মনোযোগ দিতে শুরু করেছে।
কিন্তু আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও মনোযোগ দিতে ভুলবেন না। আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হলেই আপনি ফিট থাকতে পারবেন।
একটি বৃদ্ধির মানসিকতা গ্রহণের অর্থ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা, ব্যর্থতার মুখোমুখি হওয়া এবং ব্যর্থতাকে বৃদ্ধির সুযোগ হিসাবে দেখা। মানসিকতার এই পরিবর্তন আপনাকে জীবনের অসুবিধাগুলিকে বাধার পরিবর্তে শেখার অভিজ্ঞতা হিসাবে দেখতে সাহায্য করতে পারে।
ধৈর্য সহকারে যে কোনও কাজ করলে স্ট্রেস ও ডিপ্রেশনের মতো মানসিক ব্যাধি থেকে সবসময় দূরে থাকবেন। তাই কোনও কাজে তাড়াহুড়ো না করে একটু ধৈর্য ধরতে শিখুন।
আপনার ত্রুটিগুলি সম্পর্কে আপনার খুব বেশি চিন্তা করা উচিত নয়। বরং সেগুলোকে একটু পরিবর্তন করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান। কারণ মানসিকভাবে দৃঢ় ব্যক্তিরা ভালোভাবে বোঝেন কীভাবে তাদের উন্নতি করতে হবে।
ফিট থাকার জন্য, আপনার ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ব্যায়ামের মতো স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশল অবলম্বন করা উচিত। ক্লান্তির কারণে মেজাজও ভালো থাকে না, শরীরও ভালো থাকে না। তাই বিশ্রামের জন্য সময় বের করুন।
আপনি যদি মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে চান তবে আপনাকেও শিখতে হবে এবং নতুন কিছু করতে হবে। যে ক্ষেত্রে আপনি আগ্রহী এবং সেই কাজটি আপনার খুব কাজে লাগতে পারে সেক্ষেত্রে আপনি যদি কিছু নতুন কাজ শিখেন এবং করেন, তাহলে আপনার সাফল্য বাড়তে পারে।
আপনাকে বুঝতে হবে যে প্রতিটি জিনিসের উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। এই পৃথিবীতে এমন কোন ব্যক্তি নেই যার সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে। একজন মানসিকভাবে শক্তিশালী ব্যক্তি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চান না বা তিনি এটি সম্পর্কে খুব বেশি চিন্তা করেন না।
মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে, আপনার অনুভূতি এবং আপনার চিন্তাভাবনা নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে।আপনার অনুভূতি অনুযায়ী বাঁচা উচিত নয়, আপনার অনুভূতি আপনার অনুযায়ী হওয়া উচিত।
নিজের চিন্তার ওপর আস্থা রাখাটা খুবই জরুরি। কারণ বিশ্বাস ছাড়া কোনও কাজই সম্পন্ন করা যায় না। কোনও ধরনের দুঃখ-কষ্টে ভয় পাবেন না। বরং প্রতিটি পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলাতে সক্ষম হওয়া উচিত।