25 JULY, 2024

BY- Aajtak Bangla

অ্যাসিডিটির হাত থেকে চির মুক্তি, দিনের ঠিক এইসময়ে খান কলা

 কলা খাওয়া অগণিত উপকারিতা প্রদান করে। এটি খেলে শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করা যায়।

 তবে কলা খাওয়ার একটি সঠিক উপায়ও রয়েছে। এর খেয়াল না নিলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। আয়ুর্বেদে কলা খাওয়ার সঠিক উপায় বর্ণনা করা হয়েছে, যাতে শরীর তার পূর্ণ উপকারিতা পায়।

 এমন পরিস্থিতিতে আপনিও যদি কলা খেতে পছন্দ করেন, তাহলে জেনে নিন এই ফলটি খাওয়ার সঠিক সময় ও সঠিক উপায়।

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের আগে সব ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও কলাই একমাত্র ফল যা খাওয়ার পরেই খাওয়া উচিত। খাবারের পর দুটি কলা খাওয়াও  উপকারী হতে পারে। এতে অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূর হতে পারে। 

পিত্ত কমিয়ে রক্ত ​​বিশুদ্ধ করতেও কাজ করে কলা। কলা পেটের টক্সিন দূর করতেও কাজ করে। এটি পেটের অগ্নি বাড়িয়ে পেটের অনেক সমস্যা দূর করতে পারে।

 দিনের অন্যান্য সময়ের থেকে কলা খাওয়ার জন্য বেশি ভালো সময় সকালবেলা। সকালের দিকে কলা খাওয়া খুবই উপকারি। এতে গোটা দিনের এনার্জি মজুত থাকে।  আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে কলা খাওয়ার সঠিক সময় হল সকাল ৮ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কলা বিস্ময়কর কাজ করে। ফাইবার, স্টার্চ, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ফাইটোকেমিক্যাল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মতো অনেক বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ পাওয়া যায় যা শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

কলায় রয়েছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। কলা খেলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়।

কলাতে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কলা ও দুধ খেলে হাড় মজবুত হয়।

কলা ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ওজন কমাতে সহায়ক। কলায় কম ক্যালোরি থাকে, যা পেটকে বেশিক্ষণ ভরা রাখে এবং ক্ষুধা কমায়, যা ওজন কমায়।

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা কিডনি সুস্থ রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। পটাসিয়াম কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।