30  DECEMBER,  2024

BY- Aajtak Bangla

শরীরে সুখের হরমোনের বন্যা বইবে, রান্নাঘরেই আছে মোক্ষম উপায়

শরীরে উপস্থিত ৪টি হরমোনের কারণে আপনি সুখ অনুভব করেন। যদি এর মাত্রা কমে যায় তাহলে ব্যক্তি মানসিক চাপ অনুভব করেন না বা ভালো থাকেন না।

এমন পরিস্থিতিতে এই হরমোনগুলো কোনটি আপনার সুখ-দুঃখের জন্য দায়ী এবং কীভাবে তাদের ভারসাম্য বজায় রেখে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

মাশরুম তার অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট গুণাবলীর জন্য পরিচিত। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, যা একটি মুড নিয়ন্ত্রণকারী ভিটামিন। এটি সেরোটোনিন সংশ্লেষণের স্তরের সঙ্গে  সম্পর্কিত, যার কারণে ব্যক্তি সুখী আবেগ অনুভব করতে সক্ষম হয়।

 এমন পরিস্থিতিতে, যখনই আপনার মেজাজ খারাপ থাকে, মাশরুমের রেসিপি খাওয়া আপনার জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।

অ্যাভোকাডো পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে উপস্থিত ভিটামিন বি৩ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা একটি সুখী হরমোন।

এমন পরিস্থিতিতে সারাদিন খুশি থাকতে সালাড, স্যান্ডউইচ বা ব্রেকফাস্টে অ্যাভোকাডো যোগ করতে পারেন।

ডার্ক চকোলেট খেলে শরীরে হ্যাপি হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মেজাজ উন্নত করতে পরিচিত। এছাড়াও এতে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান, যা সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায় এবং আপনাকে ভালো বোধ করে।

আপনি যদি ড্রাই ফ্রুট না খান তবে আজই এটি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন, কারণ এটি আপনার সুখের চাবিকাঠি। প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম বা আখরোট খাওয়া ক্ষুধা কমায়, মেজাজ উন্নত করে এবং মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখে। এটিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির কারণে এটি ঘটে।

আয়রন উপাদানের জন্য পরিচিত পালং শাক সুখী হরমোন বাড়াতেও কাজ করে। এছাড়াও এটি ফাইবার এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা  আপনার হজম এবং ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর। এমন পরিস্থিতিতে স্মুদি তৈরি, স্যুপ বা পালং শাকের তরকারি খাওয়া আপনার জন্য খুবই উপকারী।