20 OCTOBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
আর্থ্রাইটিস হল হাড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি রোগ যেখানে জয়েন্টগুলোতে ফোলাভাব, ব্যথা দেখা দেয় এবং শক্ত হয়ে যায়।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়, তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের মাধ্যমে এর ঝুঁকি কমানো যায়।
কিছু খাবারে পুষ্টি থাকে যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক ডায়েটিশিয়ানের কাছ থেকে সেই জিনিসগুলি কী যা বাতের ঝুঁকি কমাতে খাওয়া যেতে পারে।
ব্রকলিতে সালফোরাফেন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং জয়েন্টগুলিকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই উপাদানটি কার্টিলেজকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতেও সহায়ক, যা আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমায়।
অলিভ অয়েলে রয়েছে ওলিক অ্যাসিড, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট। এটি শরীরে প্রদাহ কমায় এবং আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। জলপাই তেল আপনার জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।
স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনের মতো ফ্যাটি মাছ ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই মাছগুলি নিয়মিত খেলে জয়েন্টের ফোলাভাব কমে যায় এবং ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও চর্বিযুক্ত মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে যা হাড়ের জন্য উপকারী।
আখরোট এবং শণের বীজও ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস। আপনি যদি মাছ না খান, তাহলে আখরোট এবং শণের বীজ আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। এগুলি ফোলাভাব কমাতে এবং জয়েন্টগুলির অবস্থার উন্নতিতে সহায়ক।
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরির মতো বেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা শরীরে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এই ফলের মধ্যে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল, যা আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।