রাত পোহালেই গণেশ পুজো। গণেশ চতুর্থীর মধ্যে দিয়েই শুরু হয় উত্সবের মরশুম।
আর গণেশ চতুর্থী মানেই মিষ্টির সমাহার। লাড্ডু এবং মোদক ছাড়া কোনওভাবেই গণেশ চতুর্থী সম্পন্ন হয় না।
কিন্তু এখন স্বাস্থ্যের বিষয়ে মানুষ বেশি সচেতন। এই কারণে, মোদকের মতো সুস্বাদু মিষ্টিও এড়িয়ে যান অনেকেই।
এই পরিস্থিতিতে আপনি গণেশ চতুর্থীর শুভ দিনে বাড়িয়ে সুগার ফ্রি মোদক বানিয়ে নিতে পারেন।
আসুন দেখে নিই, বাড়িতে সহজে কীভাবে বানাবেন সুগার ফ্রি মোদক। খেতেও সুস্বাদু ও স্বাস্থ্য়কর হবে।
উপকরণ:
৪০০ গ্রাম খেজুর (বীজ ছাড়িয়ে নেবেন), ১০০ গ্রাম আমন্ড, ১০০ গ্রাম কাজু বাদাম, ১০০ গ্রাম আখরোট, ১০০ গ্রাম কিশমিশ, ১০০ গ্রাম শুকনো নারকেল, ৩০ গ্রাম পোস্ত দানা আর ১ চামচ ঘি।
প্রথমে আমন্ড, কাজু, আখরোট সমস্ত বাদামকে ভাল করে কেটে নিন। একই ভাবে খেজুর ও শুকনো নারকেলটাও কুচি কুচি করে কেটে দিন।
শুকনো কড়াইতে বাদামগুলো হালকা করে ভেজে নিন। খেয়াল রাখবেন, যাতে বাদামটা পুড়ে না যায়। হালকা করে ভেজে নিয়ে বাদামের মিশ্রণটা আলাদা করে তুলে রাখুন।
এবার একই ভাবে, শুকনো নারকেল কোড়াটাও শুকনো কড়াইতে ভেজে নিন। হালকা বাদামী হয়ে গেলে নারকেল কোড়াটা আলাদা করে তুলে রাখুন। ওই একই কড়াইতে পোস্তর দানাও ভেজে নিন।
কড়াইতে ঘি গরম করুন। কিশমিশ এবং খেজুর দিয়ে দিন। এটাকে ৪ থেকে ৫ মিনিট ভাল করে নেড়ে নিন।
কিশমিশ এবং খেজুরের মিশ্রণ ঘন বা থকথকে না হওয়া অবধি ভাল করে রান্না করে নেবেন। তবে খেয়াল রাখবেন যে এই মিশ্রণটি যেন পুড়ে না যায়। এরপর গ্যাস বন্ধ করে দেবেন।
এবার নারকেল কুড়নো, বাদামের মিশ্রণ এবং পোস্তর দানাকে একসঙ্গে নিয়ে মিক্সি গ্রাইন্ডারে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার কিশমিশ ও খেজুরের মিশ্রণের সঙ্গে বাদাম ও নারকেলের মিশ্রণটি মিশিয়ে নিন।
যদি এই মিশ্রণ খুব ঝুরঝুরে হয় তাহলে কড়াইয়ে সামান্য ঘি দিয়ে এই পুরো মিশ্রণটা একটি নেড়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি মোদকের আকৃতিতে গড়ে নিন। ব্যস তৈরি আপনার সুগার ফ্রি মোদক।