28 NOVEMBER 2024
BY- Aajtak Bangla
শীত মানেই বাজারে হরেক কিসিমের সবজি। তবে বাজারে দিনদিন সবজির দাম যা বাড়ছে, সঙ্গে নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে আপনি পকেট আর স্বাস্থ্য বাঁচাতে বাড়ির ব্যালকনি বা ছাদেই করতে পারেন সবজির চাষ।
কিছু সবজি আছে যা দুর্দান্ত ফলে বাড়িতেই। আর স্বাদেও দেখবেন কতটা আলাদা বাজারের কেনা কোনও কিছুর থেকে।
যে কোনও রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে দিতে পারে ক্যাপসিকাম বা বেল পেপার। সবুজ, লাল, কমলা ৩ ধরনের ক্যাপসিকামই আপনি বাড়ির ছাদ বাগান বা ব্যালকনিতে বড় করতে পারবেন। এমনকী, সঠিকভাবে মাটি তৈরি করলে ও খাবার দিলে ফলনও হবে অনেক।
রান্নায় ধনেপাতা ব্যবহার করা মানে স্বাদে আলাদাই পরিবর্তন। বাজার থেকে ধনেপাতা না কিনে বাড়িতেই গ্রো করুন। পুরনো কোনও গামলা বা বড় বাটিতে মাটি ভরে নিন। এবার উপর থেকে ধনেপাতার বীজ ছড়িয়ে দিয়ে দিন।
হাত দিয়ে সামান্য চেপে দেবেন। তাহলে বীজ নড়ে যাবে না। এবার খুব সাবধানে উপরের মাটি ভিজিয়ে দিন। ৭-১০ দিনের মধ্যেই গাছ বেরোতে শুরু করবে।
ছাদে লাগিয়ে নিতে পারেন বেগুন গাছও। শীতে নিজের গাছে জন্মানো বেগুনের পোড়া খাওয়ার আনন্দই আলাদা। যে কোনও গাছের দোকান থেকে কিনে আনতে পারবেন বেগুনের চারা। আর সেগুলো মাটিতে লাগিয়ে নিলেই হবে।
তবে বেগুনে যেমন নিয়ম করে খাবার দিতে হবে, তেমনই দিতে হবে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকও। নয়তো পোকায় বেগুন খেয়ে নেবে।
বেগুনের মতো ছাদে ফলিয়ে নিতে পারবেন টমেটো গাছও। বেগুনের মতো একইরকম পরিচর্যা করতে হবে এটিরও। এখন লাগালে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে এপ্রিল অবধি গাছে ধরবে টমেটো।
ধনেপাতার মতো গামলায় মাটি ভরে বীজ ফেলে করতে পারেন পালংশাকের চাষও। খুব বেশি রোদেরও প্রয়োজন হয় না। বীজ ফেলার ১ মাসের মধ্যেই খাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাবে পালংশাক।
সবজির অনেক পাতা বা খোসা আমরা ফেলে দেই ডাস্টবিনে। সেগুলি জমিয়ে নিন বড় এক বাটি মতো। এবার তা ভিজিয়ে রাখুন জলে দিন চারেক। পরে সবজিগুলি ছেঁকে নিয়ে যতটা জল হচ্ছে, তার দ্বিগুন পরিমান সাধারণ জল মেশান। এই লিকুইড ফার্টিলাইজার আপনি গাছের মাটিতে দিতে পারেন, গাছে স্প্রে-ও করতে পারেন।