28 January 2024

BY- Aajtak Bangla

সাহস পরখ করতে এই ভূতের বাড়িতে একরাত কাটান, সরকার বুকিং দিচ্ছে

এ রাজ্যেই রয়েছে এই ভূতের বাড়ি। যা নিয়ে সব ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প প্রচলিত রয়েছে। যা শুনে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে।

অনেকে এখানে রাতে অনেক রকম শব্দ শুনেছেন বলে দাবি করেন। কেউ বাড়ির পুরনো মালিককে হেঁটে বেড়াতে দেখেছেন বা শুনেছেন বলেও মিথ রয়েছে।

কালিম্পংয়ের মরগ্যান হাউস এমনই। গেট ছাড়িয়ে ঢুকলেই মনে হবে একটা ভূতুড়ে পোড়ো বাড়ি। বাড়ির গা জুড়ে শিকড়-বাকড়, লতানে গাছের সারি।

পেল্লায় সাহেব বাংলো। বয়স একশোর কাছাকাছি। কালিম্পংয়ের দুরপিনদাঁড়ায় পাহাড়ের টঙে, সবুজে মোড়া লনের ওপর দাঁড়িয়ে রাজার মতো।

দিনের বেলা সবুজ লন, চারপাশে নানা বাহারি ফুল, পায়রা বকবক বকম। আর লনের এককোণে আকাশের গায়ে গা এলিয়ে শুয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।

তখন কে বলবে রাত হলেই একে ঘিরে নানা রকম ভূতুড়ে মিথ ঘোরাফেরা করে। কেউ লনে তো দূর অস্ত, বাইরে ঘোরার সাহস পর্যন্ত করেন না।

ভিতরে রাজকীয় বিলাসের। সাহেবি কেতার ‘ফায়ার প্লেস’, বড় বড় ঘর, উঁচু দেওয়াল, কাচের জানলা, দেওয়ালে পুরনো ছবি।

১৯৩০ সালে এই সাধের বাংলো তৈরি করেছিলেন জর্জ মরগ্যান। পাটের ব্যবসা ছিল তাঁর। সাহেব স্ত্রীকে নিয়ে এসে উঠলেন এই বাংলোয়।

সাহেব মারা যাওয়ার পর বাংলো ভারত সরকারের হাতে আসে। ১৯৭৫ সাল নাগাদ এই বাংলো পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দপ্তরের হাতে আসে।