8 FEBRUARY, 2025
BY- Aajtak Bangla
অনেকেই তাদের নাম শুনেই ভয় পান, দেখা তো দূরের কথা। কিছু সাপ এতটাই বিষাক্ত যে তাদের কামড়ে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।
আজ আমরা জানব কোন সাপ তার শরীরে সবচেয়ে বেশি বিষ তৈরি করে এবং মাত্র কয়েক মিলিগ্রাম বিষও মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে-
বিশ্বে মোট ৩,৭৮৯ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়। এগুলিতে সব ধরণের সাপ থাকে। কিছু সাপ এতটাই বিষাক্ত যে মাত্র কয়েক মিলিগ্রাম বিষই একজন মানুষকে মারার জন্য যথেষ্ট। আবার অনেক সাপ আছে যাদের মধ্যে বিষ পাওয়া যায় না।
তথ্য অনুসারে, ভারতে ৩০০ টিরও বেশি সাপের প্রজাতি পাওয়া যায়, যার মধ্যে প্রায় ৬৬ প্রজাতি বিষাক্ত।
ভারতের চারটি প্রধান বিষাক্ত সাপকে 'বিগ ফোর' বলা হয় - ইন্ডিয়ান কোবরা, কমন ক্রেইট, রাসেলস ভাইপার এবং স্কেলড ভাইপার। এই চারটি প্রজাতি তাদের উচ্চ বিষের পরিমাণের জন্য বিখ্যাত এবং প্রায়শই চিকিৎসা গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।
ইন্ডিয়ান কোবরার মতো বিষাক্ত সাপ প্রতিদিন গড়ে ১০০-২০০ মিলিগ্রাম বিষ উৎপাদন করতে পারে। এই বিষ এতটাই শক্তিশালী যে, যদি আক্রান্ত ব্যক্তির সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে ৫ মিলিগ্রামও একজন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।
রাসেলের ভাইপার তার প্রজাতিতে প্রতিদিন ৫০-১০০ মিলিগ্রাম বিষ উৎপন্ন করে। ক্রেইট সাপ প্রতিদিন ১০-১৫ মিলিগ্রাম বিষ উৎপন্ন করে, যেখানে স্কেলড ভাইপার প্রতিদিন মাত্র ৫-১০ মিলিগ্রাম বিষ উৎপন্ন করে। তাপমাত্রা এবং ঋতুগত অবস্থার উপর নির্ভর করে এই পরিমাণ কখনও কখনও পরিবর্তিত হতে পারে।
তথ্য অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান কোবরার মাত্র ৫ মিলিগ্রাম বিষ একজন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। তবে, সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই বাস্তবতা দেখায় যে জীবন এবং মৃত্যুর মধ্যে খুব কম দূরত্ব রয়েছে।
সাপের বিষ অত্যন্ত বিপজ্জনক, কিন্তু একই সঙ্গে তারা প্রকৃতির একটি মূল্যবান অংশও। আমাদের তাদের সম্মান করা উচিত, সতর্ক থাকা উচিত এবং সাপে কামড়ালে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া উচিত।