5 February, 2024
BY- Aajtak Bangla
না রকম মাদকদ্রব্যের শিকার হয় কিশোর-কিশোরীরা। বিভিন্ন সময়েই নামী স্কুল-কলেজের সামনে থেকে মাদক-সহ পড়ুয়া ধরা পড়ার খবর সেই শঙ্কাকেই সত্যি করে তোলে।
মনোবিদদের মতে, মাদক ও নেশার কবলে পড়া শিশুদের আচরণগত কিছু ফারাক ঘটে।
দৌড়ের যুগে বাবা-মাও তাঁদের কাজ-ব্যস্ততা সামলে আলাদা করে সন্তান বড় হয়ে গেলে তার খুঁটিনাটির প্রতি খেয়াল রাখতে পারেন না। আর সেই ফাঁকেই ঘাঁটি গাড়ছে নেশার চারা।
কিছু লক্ষণ দেখলেই সচেতন হোন। কেউ কেউ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে প্রথমে কৌতূহলের বশে মাদকের স্বাদ নিতে শুরু করে কিন্তু পরে আর নিজেদের সামলাতে পারে না।
তাই নিজেরা বুঝিয়ে পেরে উঠলে তো ভালই, নইলে নেশা ছাড়াতে প্রথমেই শরণ নিন কাউন্সিলিংয়ের।
সন্তানের মন-মেজাজের দিকে খেয়াল রাখুন। কথায় কথায় বিরক্তি বা রাগ দেখাচ্ছে কি? কিংবা খুব মুড সুইং হচ্ছে? তা হলে সচেতন হোন।
খাওয়াদাওয়া ও ঘুমের সময়ের উপর নজর রাখুন। ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া না করা, বা সারা রাত জেগে থাকা, বাইরে থেকে নেশাড়ু চোখে বাড়ি ফেরা, হঠাৎই অবিন্যস্ত কথা বলা— এ সব দেখলে সতর্ক হোন।
কোন কোচিংয়ে যাচ্ছে, সেখানে আদৌ সময় মতো যাচ্ছে কি না, খেয়াল রাখতে হবে সে ক্ষেত্রেও। সবচেয়ে বড় ব্যাপার কাদের সঙ্গে মিশছে, কার সঙ্গে কতটা গভীর ভাব, এগুলোও দূর থেকে বা তাদের দলে মাঝে মাঝে ভিড়ে জেনে নিতে হবে।
রজা বন্ধ করে চুপচাপ আড্ডা নয়, সকলের মাঝে হই-হুল্লোড় করে আড্ডা দিতে বলুন। এর ফাঁকে বুঝে নিতে চেষ্টা করুন, সন্তানের ‘সঙ্গদোষ’ তৈরি হচ্ছে কি না।