BY- Aajtak Bangla
21 December 2023
r
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। ইদানীং যেন এই সমস্যা আরও বেশি করে দেখা যাচ্ছে।
বাইরের খাবার বেশি খাওয়া, জল কম খাওয়া, তেল-মশলাদার খাবারের প্রতি আসক্তি, জাঙ্ক ফুড খাওয়া, শরীরচর্চা না করা - এমন বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে খাওয়াদাওয়ার উপর বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। এই সমস্যা থাকলে সব খাবার খাওয়া যায় না। আবার বেশ কয়েকটি খাবার এই রোগের মহৌষধ।
২০২৩ সালের শেষে এসে জানা গেল, এ বছর প্রচুর মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে গুগলে সার্চ করেছেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় মানুষ সবচেয়ে বেশি কোন কোন ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিয়েছে।
শুকনো আলুবোখরা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর প্রতিকার। দুই থেকে তিনটি শুকনো আলুবোখরা সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন।
আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে যা খুবই জরুরি। ফলে রোজ সকালে একটি করে আপেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আপেল সিদ্ধ করে খেলেও উপকার মিলবে।
কিউইতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। এ ছাড়াও, এতে প্রচুর পরিমাণ জলও থাকে। সব মিলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে যথেষ্ট সক্ষম এই ফল।
ডুমুরে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ডুমুর কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। সকালে ভেজানো ডুমুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।
সাইট্রাস ফল খেলে কমতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের আশঙ্কা। কমলালেবু, বাতাবি লেবু, পাতিলেবুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ফলগুলি হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচতে হলে রোজ সবুজ শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। পালং শাক, মেথি শাক, বাঁধাকপির মতো শাকসবজিতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার এবং ভিটামিন থাকে প্রচুর পরিমাণে।
চিয়া বীজ এবং ফ্ল্যাক্সসিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন। এই বীজগুলি পেট পরিষ্কার করে, হজমশক্তি বাড়ায়, ওজন কমায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
রাঙা আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে কাজে আসে। ভাজা বা সিদ্ধ করে খেতে পারেন রাঙা আলু।