16 JANUARY, 2025

BY- Aajtak Bangla

মটরশুঁটি এদের জন্য বিষের সমান, কারা ভুলেও খাবেন না?

শীতকাল মানেই হরেকরকম সবজি। শীত মানেই মটরশুঁটি। ঘুগনি, পরোটা, তরকারি বা আরও অনেক সুস্বাদু খাবার তৈরি হয় মটরশুঁটি দিয়ে।

এটি শুধু স্বাদই দেয় না, স্বাস্থ্যও বাড়ায়, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, কে, প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টি উপাদান এতে পাওয়া যায়।

হৃদযন্ত্রে জন্য খারাপ দু'টি যৌগ ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ভিএলডিএল-কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে নিয়াসিন। এই নিয়াসিন-এর প্রাকৃতিক উৎস হল কড়াইশুঁটি।

তাই নিয়মিত কড়াইশুঁটি খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে। তবে ব্যথা থাকলে, বিশেষ করে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে মটরশুঁটি না খাওয়াই ভাল। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শুধু ইউরিক অ্য়াসিড নয়, থ্রম্বোফ্লেবিটিসের মতো সমস্যা থাকলেও মটরশুঁটি খাওয়া উচিত নয়।

কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় মটরশুঁটি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। মটরশুঁটিতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকায় কিডনিতে প্রভাব পড়ে।

তবে এর উপকারও প্রচুর। কড়াইশুঁটির গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক তুলনামূলক ভাবে কম।

ডায়াবেটিস রোগীদের সব সময়ে এই ধরনের খাবার খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাই আশা করা যায়, এই সবজি খেলে রক্তে শর্করা ভারসাম্য বজায় থাকবে।

নিরামিষ আলুর দম হোক বা পোলাও, সবেতেই দিতে হবে কড়াইশুঁটি। প্রোটিনে ভরপুর কড়াইশুঁটি খাওয়া যায় মাছ, মাংসের পরিবর্তেও।

নিরামিষভোজী না হলেও পুষ্টিবিদরা এখন সকলকেই বেশি করে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খেতে পরামর্শ দেন। ভিটামিন, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং ফাইবারের গুণে সমৃদ্ধ কড়াইশুঁটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।