BY- Aajtak Bangla

সাফল্যের ৩ গোপন মন্ত্র কী? শিখে নিন হনুমানজির থেকে

11 April, 2025

মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীরামের পরম ভক্ত, সেবক ও বন্ধু শ্রী হনুমানজিকে হিন্দু ধর্মে বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে।

পবনপুত্র হনুমান এমনই এক দেবতা, যাকে সবচেয়ে বেশি পূজিত হন।

সনাতন ধর্মে হনুমানজিকে বল, বুদ্ধি ও বিদ্যার দেবতা হিসাবে মানা হয়ে থাকে। ইনি মা অঞ্জনী ও বাবা কেশরির ছেলে। কিন্তু তাঁকে পবনপুত্র বলা হয় কারণ তাঁর জন্মের পিছনে বায়ুদেবের দিব্য ভূমিকা রয়েছে।

সনাতন ধর্মে হনুমানজিকে বল, বুদ্ধি ও বিদ্যার দেবতা হিসাবে মানা হয়ে থাকে। ইনি মা অঞ্জনী ও বাবা কেশরির ছেলে। কিন্তু তাঁকে পবনপুত্র বলা হয় কারণ তাঁর জন্মের পিছনে বায়ুদেবের দিব্য ভূমিকা রয়েছে।

কলিযুগে হনুমানজির উপাসনা করলে শুধু ইতিবাচকতা মেলে তাই নয়, বজরংবলীর গুণ আমাদের জীবনে দিশা ও প্রেরণা দেন।

আসুন জেনে নিন হনুমানজি আমাদের কী কী গুণ শেখালেন।

হনুমানজি সর্বদা তাঁর শক্তি ও জ্ঞানকে সৎকর্মের জন্য ব্যবহার করতেন। কখনও প্রয়োজনে তিনি সূক্ষ্ম রূপ ধারণ করে লঙ্কায় প্রবেশ করতেন আবার কখনও তিনি বিশাল রূপ নিয়ে পুরো লঙ্কা ধ্বংস করতেন।

এখান থেকে শিখতে পারি যে নিজের শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা সঠিক পথে ব্যবহার করা উচিত।

হনুমানজি ছিলেন ভগবান শ্রী রামের একজন বাধ্য ভক্ত। তিনি শ্রী রামের প্রতিটি আদেশ সম্পূর্ণ আনুগত্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতেন।

তাছাড়া তিনি তাঁর সমস্ত কাজের কৃতিত্ব শ্রী রামকে দিতেন। এ থেকে আমরা শিখি যে শৃঙ্খলা ও নম্রতা জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি।

হনুমানজির মনে গভীর কৌতুহল ছিল। জ্ঞান অর্জনের জন্য, তিনি সূর্যদেবকে তাঁর গুরু মনে করতেন এবং তাঁকে অনুসরণ করে শিক্ষা গ্রহণ করতে থাকেন।

এর থেকে শেখা যায় যে, যদি কৌতুহল এবং নিষ্ঠা থাকে, তাহলে জ্ঞান অর্জনের পথে কোনও বাধা আসতে পারে না।

হনুমানজির জীবন থেকে আমরা কেবল ভক্তিই শিখি না, বরং এটাও বুঝতে পারি যে শক্তি, প্রজ্ঞা, নম্রতা এবং শৃঙ্খলার সঙ্গে জীবনযাপন করাই প্রকৃত সফল।