10 April, 2025
BY- Aajtak Bangla
সম্প্রতি, সুখী সম্পর্ক এবং ওজন বৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে, প্রেমময় এবং স্থিতিশীল সম্পর্কের ফলে অনেক সময় ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
হরমোনের পরিবর্তন: সুখী সম্পর্কে নারীরা সুরক্ষা ও স্বস্তি অনুভব করলে, স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমে যায় এবং অক্সিটোসিন ও সেরোটোনিনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়।
খাবারের অভ্যাসের পরিবর্তন: সঙ্গীর সাথে সময় কাটানোর ফলে অনেক সময় বাইরের খাবার খাওয়া বা কমফোর্ট ফুডের প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পায়, যা অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শারীরিক কার্যক্রমের হ্রাস: সম্পর্কের স্থিতিশীলতায় অনেকেই শারীরিক কার্যক্রম কমিয়ে দেন বা ব্যায়ামের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন, যা ওজন বৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে।
বয়স ও সম্পর্কের স্থায়িত্ব: গবেষণায় দেখা গেছে, সম্পর্কের প্রথম চার বছরে যুগলরা প্রায় দ্বিগুণ ওজন বৃদ্ধি পায়, যা সম্পর্কের স্থায়িত্বের সাথে সম্পর্কিত।
দুজনের অভ্যাসের মিল: সঙ্গীর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ বা একসাথে বেশি খাওয়া ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা বাড়াতে পারে।
সন্তুষ্টি ও স্বস্তি: সম্পর্কে সুরক্ষা ও স্বস্তি অনুভব করলে, নিজের চেহারা বা ওজন নিয়ে কম উদ্বেগ থাকে, যা খাদ্য গ্রহণের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
বিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধি: একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহিত পুরুষদের স্থূলতা বিকাশের সম্ভাবনা ৩.২ গুণ বেশি এবং অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা ৬২% বেশি।
নারীদের ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধি: বিবাহিত নারীদের স্থূলতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি না পেলেও, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা ৩৯% বৃদ্ধি পায়।
সুখী সম্পর্কে ওজন বৃদ্ধি একটি সাধারণ ঘটনা হতে পারে, তবে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।