11 January 2024
BY- Aajtak Bangla
যখন আমরা একটি নতুন ওয়ার্কআউট শুরু করি, তখন পেশীতে ব্যথা হওয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। সেটা দৌড়ানো, সাইকেল চালানো বা ওয়েট ট্রেনিং যাই হোক।
এটি ঘটে কারণ যখন আমরা একটি নতুন ওয়ার্কআউট শুরু করি, তখন আমাদের পেশীগুলি সেই কার্যকলাপের জন্য প্রস্তুত থাকে না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি প্রথমবার ওয়েট ট্রেনিং শুরু করেন, আপনার পেশীগুলি ভারী ওজন তুলতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত নয়।
এটি করার ফলে হঠাৎ চাপ এবং স্ট্রেন সৃষ্টি হয়, যার কারণে পেশীগুলিতে ছোট ছোট ক্ষতি হয়, যার ফলে ব্যথা, ফোলাভাব এবং টান অনুভূত হয়।
তবে চিন্তার কিছু নেই। এমন কিছু উপায় আছে যা পেশী ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
পেশির ব্যথার অন্যতম কারণ হল ডিহাইড্রেশন বা শরীরে জলের অভাব। শরীরে জল কম হলে রক্তের প্রবাহের গতি কমে যায়, শরীরে টক্সিন জমে, আর তা থেকে পেশির আড়ষ্টতা, ব্যথা, ক্র্যাম্প, এমনকী, স্প্যাজমও দেখা দিতে পারে।
তাই জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান, পেশির ব্যথাও অনেক কম থাকবে দিনে ৮-১০ গ্লাস জল খান, আর ব্যায়ামের সময় হাতের কাছে রাখুন ওয়াটার বটল।
ব্যথার জায়গায় মাসাজ করলে পেশি ধীরে ধীরে শিথিল হবে। মাসাজ পেশি শিথিল করার পাশাপাশি রক্ত সংবহনও বাড়িয়ে তোলে। তাই যে কোনও তেল বা ব্যথা কমানোর মলম নিয়ে ব্যথার জায়গায় ধীরে ধীরে মাসাজ করুন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আকুপ্রেশার বা ডিপ টিস্যু মাসাজও করতে পারেন।
গা ঘামিয়ে ব্যায়ামের পর ঈষদুষ্ণ জলে স্নানের মতো আরাম আর কিছুতে নেই! এতে একদিকে যেমন ত্বক তরতাজা হয়ে ওঠে, তেমনি পেশির ব্যথাতেও আরাম হয়, অনেকটা হিটিং প্যাডের মতো।
ব্যায়ামের আগে আর পরে স্ট্রেচ করে নেওয়া ভালো অভ্যাস। আর ব্যায়ামের পরে যদি মাসলে ব্যথা হয়েছে বলে মনে হয়, তা হলে পেশির খিঁচ আলগা করতে হালকা স্ট্রেচ করে নিন।
পেশির খিঁচ বা ব্যথা কমানোর অন্যতম সেরা উপায় হল রোজকার খাবারে প্রোটিন রাখা। প্রোটিনের অ্যামাইনো অ্যাসিড কঠোর ব্যায়ামের পরে আপনার পেশিগুলোকে মেরামত করতে সাহায্য করে।
ফলে পেশির ব্যথা কমাতে ডিম, মুরগির মাংস, আমন্ড, ওটস, ছানা, দুধ, ব্রকোলির মতো খাবার রাখুন আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে।