BY- Aajtak Bangla
12 December 2023
অত্যধিক শীতে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় কমবেশি সবাই স্নান করতে ভয় পান!
আসলে শীতে বেশিরভাগ মানুষই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন, এ কারণে ঠান্ডা জল সবাই এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো মনে করেন।
তবে গরম জল দেখলে এ সময় সবাই স্বস্তি পান। বেশিরভাগ মানুষই শীতে গরম জলে স্নান সারেন। আবার অনেকে দু'দিন কিংবা ৪ দিনও স্নান না করেই পার করে দেন।
কখনো ভেবে দেখেছেন, দিনের পর দিন স্নান না করলে কী হয়?
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত স্নান করলে শরীর পরিষ্কার থাকে, এমনকি শরীরে জমে থাকা বিভিন্ন জীবাণু ও ময়লাও সহজে পরিষ্কার হয়ে যায়।
তবে শীতে দৈনিক স্নান না করলেও স্বাস্থ্যের ততটা ক্ষতি হয় না। আমেরিকার চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন স্নান না করলেও চলে, যদি আপনার শরীরে নোংরা না জমে।
আসলে স্নান নিয়ে বিশ্বের সব স্থানেই আছে সামাজিক ছুতমার্গ। নিয়মিত স্নান না করার কথা শুনলে অনেকেই মনে করেন, অন্য ব্যক্তি নোংরা। এটি কিন্তু ভুল ধারণা।
শীতে গরম জলে বেশিক্ষণ স্নান করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়, এমনটিই মত বিশেষজ্ঞদের। এ সময় অতিরিক্ত গরম জলে স্নানের ফলে অনেকেই চর্মরোগে ভোগেন।
বিশেষ করে অ্যাজমা, সোরিয়াসিস, দাদ’সহ বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ বেড়ে যায় শুধু গরম জলে স্নানের কারণে। এসব চর্মরোগের স্থান গরম জলের সংস্পর্শে আরও শুষ্ক হয় ও ক্ষত বাড়ে।
যদিও ঠান্ডা জলে স্নানের কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও আছে। নেদারল্যান্ডসে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ঠান্ডা জলে স্নান করেন তাদের অসুস্থতার কারণে কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার সম্ভাবনা ২৯ শতাংশ কম ছিল অন্যদের তুলনায়।
অন্যান্য গবেষণায় জানা গেছে, ঠান্ডা জলে স্নান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। এছাড়া শরীরের প্রদাহও কমে। অনেক চিকিৎসকদের মতে, ঠান্ডা জলের শাওয়ার দীর্ঘায়ু বাড়ায়। এমনকি বিপাকক্রিয়াও উন্নত করে।