9 APRIL, 2025
BY- Aajtak Bangla
চল্লিশের পরে, শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটতে পারে, যা জয়েন্টে ব্যথা, হৃদরোগের ঝুঁকি এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে, ৪০ বছর বয়সের পরে নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
বয়স বাড়ার সঙ্গে প্রতিদিন ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। এর জন্য আপনি যোগব্যায়াম, দৌড়, সাঁতার, ভারোত্তোলন বা জিম করতে পারেন।
বয়স বাড়ার সঙ্গে পেশী শক্তিশালী করার জন্য, রেজিস্টেন্স ট্রেনিং যেমন ওয়েট লিফটিং বা রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড ব্যবহার করা উচিত।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেশী শক্তিশালী রাখলে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে, ভারসাম্য উন্নত হয় এবং জীবনের মান উন্নত হয়।
বয়স বাড়ার সঙ্গ শরীরের নমনীয়তা বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এটি আঘাত প্রতিরোধে সাহায্য করে, শরীরকে চটপটে করে এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম সহজ করে তোলে। তাই শরীরে নমনীয়তা আনতে প্রতিদিন স্ট্রেচিং করা উচিত।
বয়স বাড়ার সঙ্গে একজন ব্যক্তি অলস হয়ে পড়েন এবং বেশি ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করেন না, যা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সাথে শরীরকে সচল রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন, যেমন হাঁটা, যোগব্যায়াম বা অ্যারোবিক্স।
বয়স বাড়ার সঙ্গে আপনার খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্যের পাশাপাশি ফাইবার, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
সুস্থ থাকার জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনিদ্রার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি। তাই, প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমনোর চেষ্টা করুন। পাশাপাশি মানসিক চাপও কমান।
মানসিক চাপ কমাতে, ধ্যান, যোগব্যায়াম এবং শখের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। আপনি পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করতে পারেন।
Disclaimer: এই খবরটি শুধুমাত্র আপনাকে সচেতন করার জন্য লেখা হয়েছে। এটি লেখার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ তথ্যের সাহায্য নিয়েছি।