24 June, 2024
BY- Aajtak Bangla
বিষফোঁড়া তীব্র বেদনাসহ স্টাফালোলোকোক্কাস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত একটি সাংঘাতিক ধরনের ফোঁড়া। এই ফোঁড়ার অনেক ছোট ছোট মুখ থাকে। যাকে বলে কার্বাঙ্কল।
বিষফোঁড়া সাধারণত কোমর, ঘাড়ে, পিঠ, কনুই এবং কানে বেশি দেখা যায়। তবে বিষাক্ত এই ফোড়া পশ্চাৎদেশেও হয় মাঝেমধ্যে। তখন এটি আরও বেশি যন্ত্রণাদায়ক হয়ে দাঁড়ায়।
দেহের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র ব্যথাদায়ক এই বিষফোঁড়া কমবেশি অনেকেরই হয়ে থাকে। এই ফোঁড়া হলে যে কী যন্ত্রণা হয়, সেটা যার হয়েছে আগে পরে, কেবল তিনিই জানেন।
যতদিন ফোঁড়া থাকে, ততদিন যেন প্রাণ যায় যায় অবস্থা। কিন্তু বিষফোঁড়া দেহের যেখানেই হোক, এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়ার কি কোনো উপায় নেই?
অবশ্যই আছে। আসলে না জানার কারণে যেকোনো রোগেই আমাদের ভোগান্তি বাড়ে। তাই আর দেরি না করে বিষফোঁড়া থেকে মুক্তির সহজ ঘরোয়া উপায় জেনে নিন।
অনেক সময় জীবাণুর কারণে দেহের যেকোনো জায়গায় বিষফোঁড়া হতে পারে। তাই জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করতে হবে। এতে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার থাকে।
এবার একটি পরিষ্কার কাপড় গরম জলে ভিজিয়ে নিতে হবে। ওই কাপড়টি হালকা চেপে ফোঁড়ার জায়গায় ধরতে হবে। তাপের জেরে ফোঁড়াটি গলে যেতে পারে।
ফোঁড়া গলে গেলে তা থেকে রক্ত বেরোতে পারে। এর জন্য প্রস্তুত থাকুন। ওই অংশে জমে থাকা রক্তটা বেরিয়ে যেতে দিন। এবার ফোঁড়ার চারপাশে অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম লাগিয়ে নিন।
এতে নতুন করে ফোঁড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মাথায় ফোঁড়া নিজেই গলে যায়। তবে নিজে থেকে হাত দিয়ে চেপে ফোঁড়া গলানোর চেষ্টা না করাই ভালো। এতে সংক্রমণ বাড়তে পারে।
বরং গরম জলে ভেজা কাপড় দিয়ে গলালে সংক্রমণের আশঙ্কা কম থাকে। সঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা আর ভোগান্তিও কমে।