BY- Aajtak Bangla

কনকনে ঠান্ডাতেও আপনি থাকবেন গরম, কীভাবে? জানুন পাহাড়িদের সিক্রেট

28 January, 2024

পাহাড়ি এলাকায় মানুষ ঠান্ডার সঙ্গে যুঝতে কিছু সুস্বাদু আর পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকে।

পাহাড়ের মানুষ নিজেদের গরম রাখতে যেটা খায় তা হল কাণ্ডালি বা বিচ্ছু ঘাসের শাক। এই খাবারগুলিই মূলত শীতের মরশুমে চেটেপুটে খান পাহাড়ের বাসিন্দারা।

কাণ্ডালির সবজি এবং শাক স্বাদে তো দারুণই, সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণও।  আর শীতের দিনে খাওয়ার উপকারিতাও রয়েছে প্রচুর।

আসলে কাণ্ডালি ঘাস সাধারণত গরম প্রকৃতির হয়। ফলে পাহাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দাদের খুবই পছন্দের এই শাক।

ঘাসের ধারে ছোট ছোট ধারালো রোঁয়ার মতো অংশ থাকে। যা একবার হাত দিলে কাঁটার মতো লাগে বলে এটাকে বিচ্ছু শাক বলে।

কাণ্ডালির পাতা আয়রনে সমৃদ্ধ। যা অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দূর করতে সক্ষম। এই শাক জন্ডিস, পেটের রোগে খুবই উপকারী।

শীতকাল মানেই সর্দি-কাশি সমস্যা। বিচ্ছু পাতার রস খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা নিমেশে দূর হবে। কিডনির রোগ দূর করতেও সহায়ক এই শাক।

এই শাক রান্না করেও খাওয়া হয়। প্রথমে নরম কাণ্ডালি তুলে নিয়ে আসা হয়। এরপর গাছের সেই কাঁটা দূর করার জন্য তা পোড়ানো হয়। আর সেটা পোড়ানোর পরে জল দিয়ে সেই কাঁটা পরিষ্কার করা হয়। 

এবার গরম জলভর্তি একটি প্যানে তা সেদ্ধ করা হয়। এরপর শিল-নোড়ায় সেটা বেটে নেওয়া হয়। এবার রান্না করে নেওয়ার পালা।

তার জন্য কড়াইয়ে তেল গরম করে সাদা জিরে ফোড়ন দিয়ে বেটে নেওয়া কাণ্ডালি যোগ করতে হবে। স্বাদ অনুযায়ী লবণ এবং মশলা দিতে হবে।

এবার ভেজে নিলেই প্রস্তুত কাণ্ডালি শাক! তা ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে উপভোগ করা যেতে পারে। আজকালকার দিনে অবশ্য মানুষ পিঁয়াজ, টমেটো এবং বেসনের ঘোল যোগ করে থাকে। যাকে ‘আলন’ বলা হয়।