12 July, 2024
BY- Aajtak Bangla
সুস্বাদু খাবারের জন্য ভারতীয়দের ক্রেজ সবাই জানে। টিভিতে নতুন কোনো রেসিপি দেখা মাত্রই বাড়ির মহিলারা সুযোগ পেলেই রান্নাঘরে ট্রাই করে দেখেন।
তবে কোনও মহিলাই তার পরিবারের স্বাস্থ্যের সঙ্গে আপস করতে পছন্দ করেন না।
আজকাল বাজারে অনেক ধরনের রান্নার তেলই স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বজায় রাখার দাবি করে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। রান্নার জন্য এই রান্নার তেল ব্যবহার করলে স্থূলতা, হৃদরোগ, জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলা সহ অনেক সমস্যা হতে পারে।
আসুন জেনে নিন এমনই ৫ রান্নার তেল যা স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হতে পারে।
পাম তেলে উচ্চ পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এতে প্রায় ৫০ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, যা "খারাপ" কোলেস্টেরল নামে পরিচিত। উচ্চ এলডিএল কোলেস্টেরলের কারণে ধমনীতে প্লাক তৈরি হতে শুরু করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
সয়াবিন তেল ওমেগা -6 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে এই তেলটি বেশি পরিমাণে খেলে জয়েন্টে ব্যথা ও ফোলাভাব বাড়তে পারে।
অলিভ অয়েল ড্রেসিং বা ডিপ তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সালাড, চাটনি, পাস্তা, পিজ্জয় ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু উচ্চ তাপে রান্নার উপযোগী নয়। উচ্চ আঁচে রান্না করলে শুধু ডায়রিয়া ময়, ত্বকে পিম্পল এবং লাল ফুসকুড়িও হতে পারে।
আপনিও যদি রান্নার জন্য ভেজিটেবল তেল ব্যবহার করেন, তাহলে জেনে রাখুন ভুট্টা, সূর্যমুখী এবং সয়াবিনের মিশ্রণে তৈরি এই তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-6 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এই তেলের অতিরিক্ত সেবন হার্টে ব্লকেজের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।
কটন সিড অয়েলে ওমেগা 6 ফ্যাটি অ্যাসিডের উচ্চ পরিমাণ রয়েছে, যা বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে ফোলা, অ্যালার্জি, ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, চোখের জ্বালা বা শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। শুধু তাই নয়, খাদ্যতালিকায় রয়েছে ওমেগা-6 ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি গ্রহণ করলে ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়তে পারে।